বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দনবাসের স্বাধীনতা মস্কোর কাছে অগ্রাধিকার : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের স্বাধীনতা মস্কোর কাছে শর্তহীন অগ্রাধিকার। ইউক্রেনের অন্য অঞ্চলগুলো তাদের ভবিষ্যত নিজেরাই নির্ধারণ করবে বলেও উল্লেখ করেন ল্যাভরভ। খবর রয়টার্সের।

রোববার ফ্রান্সের টিএফ১ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দনবাসের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে হামলা জোরালো করেছে রাশিয়া।

দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত দনবাস ইউক্রেনের ঐতিহ্যবাহী শিল্পএলাকা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এ হামলা শুরু করে।

ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনে তাদের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের তৎপরতার পরে প্রতিবেশীকে নিরস্ত্রীকরণ করা এবং এটির ‘নাৎসি’ অনুপ্রাণিত জাতীয়তাবাদ পরিষ্কার করা। কিয়েভ এবং পশ্চিমা দেশগুলো এসব দাবি ভূমি দখলের ভিত্তিহীন অজুহাত হিসেবে দেখে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত একটি পাঠ্য অনুসারে ল্যাভরভ বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের কাছে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতা একটি নিঃশর্ত অগ্রাধিকার।’

ইউক্রেনের বাকি অঞ্চলের বিষয়ে ল্যাভরভ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না তারা একটি নব্য-নাৎসি শাসনের কর্তৃত্বে ফিরে যেতে পেরে খুশি হবে, যা প্রমাণ করেছে যে এটি মূলত রুসোফোবিক। এই জনগোষ্ঠীকে নিজেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দনবাসের স্বাধীনতা মস্কোর কাছে অগ্রাধিকার : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ১১:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের স্বাধীনতা মস্কোর কাছে শর্তহীন অগ্রাধিকার। ইউক্রেনের অন্য অঞ্চলগুলো তাদের ভবিষ্যত নিজেরাই নির্ধারণ করবে বলেও উল্লেখ করেন ল্যাভরভ। খবর রয়টার্সের।

রোববার ফ্রান্সের টিএফ১ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দনবাসের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে হামলা জোরালো করেছে রাশিয়া।

দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত দনবাস ইউক্রেনের ঐতিহ্যবাহী শিল্পএলাকা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এ হামলা শুরু করে।

ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনে তাদের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের তৎপরতার পরে প্রতিবেশীকে নিরস্ত্রীকরণ করা এবং এটির ‘নাৎসি’ অনুপ্রাণিত জাতীয়তাবাদ পরিষ্কার করা। কিয়েভ এবং পশ্চিমা দেশগুলো এসব দাবি ভূমি দখলের ভিত্তিহীন অজুহাত হিসেবে দেখে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত একটি পাঠ্য অনুসারে ল্যাভরভ বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের কাছে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতা একটি নিঃশর্ত অগ্রাধিকার।’

ইউক্রেনের বাকি অঞ্চলের বিষয়ে ল্যাভরভ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না তারা একটি নব্য-নাৎসি শাসনের কর্তৃত্বে ফিরে যেতে পেরে খুশি হবে, যা প্রমাণ করেছে যে এটি মূলত রুসোফোবিক। এই জনগোষ্ঠীকে নিজেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’