রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জাম পাড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামের পাশে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী আমিনুল ইসলাম শাওন ও সৈকত রায়হান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী। আর তানভীর হোসেন শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন স্বদেশের অনুসারী।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বাংলা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল পাটোয়ারী ও মানিকসহ কয়েকজন জাম পাড়তে গাছে ওঠেন। এ সময় জিয়া হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাওন তাদের জাম পাড়তে নিষেধ করেন। এতে দুপক্ষে কথাকাটাকাটি হয়। পরে শাওন তার বন্ধু আইবিএ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত রায়হান, নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলিফ জিন্নাহ, নাঈম হোসেন জিহাদসহ কয়েকজনকে ডেকে নেন। অপরদিকে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ, তানভীর হোসেনসহ কয়েকজন উপস্থিত হলে দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ বলেন, আমার বিভাগের দুই ছোট ভাই জাম পাড়তে গেলে লতিফ হলের কিছু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে ঝামেলা হয়। এর মধ্যে আমার বিভাগের বন্ধুরাও ঘটনাস্থলে গেলে এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় লতিফ হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলিফ জিন্নাহসহ ওই হলের পোস্টেড নেতা জিহাদ, শাওন, সৈকত রামদা, ছুরি নিয়ে এসে ধাওয়া করে। এতে তানভীর ছুরিকাঘাতে জখম হয়।
আইবিএ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত রায়হান বলেন, জাম পাড়াকে কেন্দ্র করে আমার বন্ধু শাওনের সঙ্গে কয়েকজনের ঝামেলা হলে সে আমাকে ফোন করে। আমরা কয়েকজন সেখানে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে স্বদেশ আমার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে আমি আহত হই এবং তাদের মারধরে শাওনও আহত হয়। পরে পাশে থাকা আমাদের বড় ভাইয়েরা ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জেনেছি। ইতোমধ্যে স্বদেশের সঙ্গে কথা বলেছি। আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
























