বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের জন্য মরিয়া, মা ধৈর্য ধরতে বলায় ‘অভিমানে’ আত্মহত্যা কিশোরের

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় পরিবার বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় ‘অভিমানে’ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক কিশোর। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চন্ডিপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মো. আরমান (১৫) নামের ওই কিশোর চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় কোদালিয়া শহরুল্লাহ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তো।

শামসুদ্দিন জানান, একই এলাকার এক ইউপি সদস্যের মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আরমান বিয়ের জন্য তার মাকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু ছেলে-মেয়ে দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আরমানকে ধৈর্য ধরতে বলেন তার মা। শুক্রবার সকালে আরমান নাশতা খেয়ে এলাকায় কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে। পরে বাড়ি গিয়ে তার রুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য মা তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে সে। মায়ের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

পাকুন্দিয়া থানার এসআই আমিনুর রহমান বলেন, পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিয়ের জন্য মরিয়া, মা ধৈর্য ধরতে বলায় ‘অভিমানে’ আত্মহত্যা কিশোরের

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় পরিবার বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় ‘অভিমানে’ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক কিশোর। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চন্ডিপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মো. আরমান (১৫) নামের ওই কিশোর চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় কোদালিয়া শহরুল্লাহ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তো।

শামসুদ্দিন জানান, একই এলাকার এক ইউপি সদস্যের মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আরমান বিয়ের জন্য তার মাকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু ছেলে-মেয়ে দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আরমানকে ধৈর্য ধরতে বলেন তার মা। শুক্রবার সকালে আরমান নাশতা খেয়ে এলাকায় কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে। পরে বাড়ি গিয়ে তার রুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য মা তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে সে। মায়ের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

পাকুন্দিয়া থানার এসআই আমিনুর রহমান বলেন, পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।