শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড মোহতেশাম বাবর: হাইকোর্ট

ফরিদপুরের খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।

এ মামলায় আদালত খোন্দকার বাবরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

তার জামিন আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ মন্তব্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান।

শুনানিতে আদালত বলেন, এ মামলায় সংঘটিত অপরাধের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার মোহতেশাম। তিনি অন্য আসামিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন ও পরামর্শদাতা ছিলেন। তার কারণে সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।  এ ধরনের আসামিদের জামিন দেব কেন বলে প্রশ্ন তোলে আদালত।

পরে আদালত তার আবেদন খারিজ করতে চাইলে ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজের আবেদন জানান আসামি খোন্দকার বাবরের আইনজীবী। 

আদালত বলে, এজাহার ও চার্জশিট পর্যালোচনায় দেখতে পেরেছি, আসামি একজন সাবেক মন্ত্রীর ভাই। তার একটা লিডারশিপ রয়েছে। এলজিইডি থেকে শুরু করে এমন কোনো দপ্তর নেই যেখানে তিনি টেন্ডারবাজি করেননি। 

তখন আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, তার মোয়াক্কেল মন্ত্রীর ভাই ঠিক আছে। তিনি অপ্রপচারের শিকার। আদালত বলেন, আসামির বিরুদ্ধে  নথিতে অপরাধের প্রাথমিক উপাদান রয়েছে।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, অর্থপাচার তো একটা অর্গানাইজড ক্রাইম। এ অপরাধের পেছনে প্রধান হোতা হচ্ছেন বাবর। তার নেতৃত্বে এ সিন্ডিকেট চলেছে।

এরপর আদালত বাবরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

গত ২৪ মার্চ বাবরের জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে গত ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবর সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই।

২০২১ সালের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে সিআইডি। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।

ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। সেই সঙ্গে খোন্দকার বাবরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। দেশ রূপান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড মোহতেশাম বাবর: হাইকোর্ট

প্রকাশিত সময় : ০৯:০৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

ফরিদপুরের খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।

এ মামলায় আদালত খোন্দকার বাবরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

তার জামিন আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ মন্তব্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান।

শুনানিতে আদালত বলেন, এ মামলায় সংঘটিত অপরাধের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার মোহতেশাম। তিনি অন্য আসামিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন ও পরামর্শদাতা ছিলেন। তার কারণে সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।  এ ধরনের আসামিদের জামিন দেব কেন বলে প্রশ্ন তোলে আদালত।

পরে আদালত তার আবেদন খারিজ করতে চাইলে ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজের আবেদন জানান আসামি খোন্দকার বাবরের আইনজীবী। 

আদালত বলে, এজাহার ও চার্জশিট পর্যালোচনায় দেখতে পেরেছি, আসামি একজন সাবেক মন্ত্রীর ভাই। তার একটা লিডারশিপ রয়েছে। এলজিইডি থেকে শুরু করে এমন কোনো দপ্তর নেই যেখানে তিনি টেন্ডারবাজি করেননি। 

তখন আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, তার মোয়াক্কেল মন্ত্রীর ভাই ঠিক আছে। তিনি অপ্রপচারের শিকার। আদালত বলেন, আসামির বিরুদ্ধে  নথিতে অপরাধের প্রাথমিক উপাদান রয়েছে।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, অর্থপাচার তো একটা অর্গানাইজড ক্রাইম। এ অপরাধের পেছনে প্রধান হোতা হচ্ছেন বাবর। তার নেতৃত্বে এ সিন্ডিকেট চলেছে।

এরপর আদালত বাবরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

গত ২৪ মার্চ বাবরের জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে গত ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবর সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই।

২০২১ সালের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে সিআইডি। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।

ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। সেই সঙ্গে খোন্দকার বাবরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। দেশ রূপান্তর