বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার হাতে মাত্র চার দিনের জ্বালানি মজুত

তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কবলে থাকা শ্রীলংকায় দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের হাহাকার। এ পরিস্থিতিরি আরও অবনতির আশংকা। দেশটিতে বর্তমানে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুত আছে, তা দিয়ে চার দিনের চাহিদা মিটবে বলে জানান জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ তলানিতে থাকায় দেশটির অর্থনীতিতে ধস নামে। গত সাত দশকে এমন সংকটের মধ্যে পড়েননি দেশটির বাসিন্দারা। ডলারের অভাবে খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাধা আসছে। একই কারণে দেখা দিয়েছে তেলের সংকট।

এমতাবস্থায় তেল কিনতে শ্রীলঙ্কার পেট্রলপাম্পগুলোতে গ্রাহকদের কয়েক কিলোমিটার লম্বা লাইন দেখা গেছে। অনেক জায়গায় পেট্রল ও ডিজেলের জন্য গাড়ির মালিকেরা সারা রাত অপেক্ষা করেছেন। এসবের জেরে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটছে।

এ বিষয়ে কাঞ্চনা উইজেসেকেরা জানান, জ্বালানি তেলের বিক্রেতাদের কাছে শ্রীলঙ্কার ৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বাকি পড়েছে তাই তেল আমদানি করতে ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার কারণে আমরা তেল আমদানি করতে হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের কাছে যে মজুত আছে, তা দিয়ে ২১ জুন পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে সরকার কাজ করছে।

কিছুটা আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, তিন দিনের মধ্যে পেট্রলের একটি চালান শ্রীলঙ্কায় আসবে। আর আট দিনের মধ্যে আরও দুটি চালান আসবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শ্রীলঙ্কার হাতে মাত্র চার দিনের জ্বালানি মজুত

প্রকাশিত সময় : ০৪:৪০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কবলে থাকা শ্রীলংকায় দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের হাহাকার। এ পরিস্থিতিরি আরও অবনতির আশংকা। দেশটিতে বর্তমানে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুত আছে, তা দিয়ে চার দিনের চাহিদা মিটবে বলে জানান জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ তলানিতে থাকায় দেশটির অর্থনীতিতে ধস নামে। গত সাত দশকে এমন সংকটের মধ্যে পড়েননি দেশটির বাসিন্দারা। ডলারের অভাবে খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাধা আসছে। একই কারণে দেখা দিয়েছে তেলের সংকট।

এমতাবস্থায় তেল কিনতে শ্রীলঙ্কার পেট্রলপাম্পগুলোতে গ্রাহকদের কয়েক কিলোমিটার লম্বা লাইন দেখা গেছে। অনেক জায়গায় পেট্রল ও ডিজেলের জন্য গাড়ির মালিকেরা সারা রাত অপেক্ষা করেছেন। এসবের জেরে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটছে।

এ বিষয়ে কাঞ্চনা উইজেসেকেরা জানান, জ্বালানি তেলের বিক্রেতাদের কাছে শ্রীলঙ্কার ৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বাকি পড়েছে তাই তেল আমদানি করতে ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার কারণে আমরা তেল আমদানি করতে হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের কাছে যে মজুত আছে, তা দিয়ে ২১ জুন পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে সরকার কাজ করছে।

কিছুটা আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, তিন দিনের মধ্যে পেট্রলের একটি চালান শ্রীলঙ্কায় আসবে। আর আট দিনের মধ্যে আরও দুটি চালান আসবে।