মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড

কুষ্টিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড

কুষ্টিয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণা করেছে করোনা। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৯ নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ২০ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় এটাই সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু।  সম্প্রতি কুষ্টিয়া পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।  হু হু করে করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নতুন শনাক্ত ১৫৬ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৭৭ জন, দৌলতপুরের ১৭ জন, কুমারখালীর ২৮ জন, ভেড়ামারার ১০ জন, মিরপুরের ১৯ জন ও খোকসার ৫ জন।

মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই সদরের এবং একজন ভেড়ামারার উপজেলার বাসিন্দা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন করে আরো ৪১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠিয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৫৫ হাজার ৯২২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে ৫৪ হাজার ৯৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

বর্তমানে কুষ্টিয়ায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৭৬ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৮৯৭ জন।

করোনার বিস্তার রোধে গত ১১ জুন থেকে ১৮ জুন (শুক্রবার) পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের পৌর এলাকায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। তাছাড়া মিরপুর উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মিরপুর পৌরসভা এলাকায়। বিধিনিষেধের গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কুষ্টিয়া ও মিরপুর পৌর এলাকায় কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। এ ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে।  শহরে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকৈাল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় রোগীদের ভিড় সামাল দিতে নতুন একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। আগে করোনা ওয়ার্ডে ৭৪টি শয্যা ছিল। সেখানে এখন ২৬টি শয্যা যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এ হাসপাতালে প্রায় ৭০ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। করোনা রোগীর ভিড় সামাল দিতে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কুষ্টিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৮:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

কুষ্টিয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণা করেছে করোনা। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৯ নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ২০ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় এটাই সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু।  সম্প্রতি কুষ্টিয়া পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।  হু হু করে করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নতুন শনাক্ত ১৫৬ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৭৭ জন, দৌলতপুরের ১৭ জন, কুমারখালীর ২৮ জন, ভেড়ামারার ১০ জন, মিরপুরের ১৯ জন ও খোকসার ৫ জন।

মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই সদরের এবং একজন ভেড়ামারার উপজেলার বাসিন্দা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন করে আরো ৪১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠিয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৫৫ হাজার ৯২২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে ৫৪ হাজার ৯৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

বর্তমানে কুষ্টিয়ায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৭৬ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৮৯৭ জন।

করোনার বিস্তার রোধে গত ১১ জুন থেকে ১৮ জুন (শুক্রবার) পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের পৌর এলাকায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। তাছাড়া মিরপুর উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মিরপুর পৌরসভা এলাকায়। বিধিনিষেধের গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কুষ্টিয়া ও মিরপুর পৌর এলাকায় কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। এ ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে।  শহরে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকৈাল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় রোগীদের ভিড় সামাল দিতে নতুন একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। আগে করোনা ওয়ার্ডে ৭৪টি শয্যা ছিল। সেখানে এখন ২৬টি শয্যা যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এ হাসপাতালে প্রায় ৭০ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। করোনা রোগীর ভিড় সামাল দিতে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।