বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মার পাড়ে জনস্রোত

সব বাধা জয় করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। নিজ অর্থে বিশাল এ সেতু বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বপ্নিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। আজ শনিবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর। আর আগামীকাল রোববার থেকে যানবাহন চালাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।

এদিকে, সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগ এক জনসভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় যোগ দিয়ে ভাষণ দেবেন। দুপুরে সমাবেশ শুরু হবে।

এরই মধ্যে লাখো মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় পদ্মার ওপারে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো মাদারীপুর জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ফেস্টুন ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো মাদারীপুর।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার ভোর থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের অংশ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিলে-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের স্রোত জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লাল-সবুজ টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে পায়ে হেঁটে বা পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসে বিভিন্ন সড়ক ধরে যেভাবে পারছেন, ঘাটের দিকে আসছেন নেতাকর্মীরা।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে বুকে পিঠে লিখে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছে স্কুলছাত্র শাহরিয়ার। সে দৈনিক আমাদের সময়কে জানায়, ‘আমাদের দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নপূরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানাতে এসেছি। আমি অনেক খুশি, এখন আমরা খুব সহজে ঢাকা যাওয়া আসা করতে পারব। কোনো ভোগান্তির শিকার হতে হবে না।’

এদিকে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পদ্মার পাড়ে জনস্রোত

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

সব বাধা জয় করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। নিজ অর্থে বিশাল এ সেতু বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বপ্নিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। আজ শনিবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর। আর আগামীকাল রোববার থেকে যানবাহন চালাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।

এদিকে, সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগ এক জনসভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় যোগ দিয়ে ভাষণ দেবেন। দুপুরে সমাবেশ শুরু হবে।

এরই মধ্যে লাখো মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় পদ্মার ওপারে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো মাদারীপুর জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ফেস্টুন ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো মাদারীপুর।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার ভোর থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের অংশ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিলে-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের স্রোত জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লাল-সবুজ টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে পায়ে হেঁটে বা পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসে বিভিন্ন সড়ক ধরে যেভাবে পারছেন, ঘাটের দিকে আসছেন নেতাকর্মীরা।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে বুকে পিঠে লিখে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছে স্কুলছাত্র শাহরিয়ার। সে দৈনিক আমাদের সময়কে জানায়, ‘আমাদের দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নপূরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানাতে এসেছি। আমি অনেক খুশি, এখন আমরা খুব সহজে ঢাকা যাওয়া আসা করতে পারব। কোনো ভোগান্তির শিকার হতে হবে না।’

এদিকে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করছেন।