বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজের গায়ে আগুন দেওয়া চিকিৎসক মারা গেছেন

‘স্বামীর ওপর অভিমান করে’ নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন চিকিৎসক অদিতি সরকার। পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অদিতির মৃত্যু হয় বলে বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান।

গত শুক্রবার থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন ৩৮ বছর বয়সি এ চিকিৎসক। তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

মিটফোর্ড হাসপাতালের নবজাতক শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার অদিতি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৩১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হেয়ারস্ট্রিটের বাসায় তিনি নিজের গায়ে আগুন দেন বলে পুলিশ জানায়।

ওয়ারি থানার ওসি কবির হোসেন হাওলাদার জানিয়েছিলেন, স্বামীর সঙ্গে রাগারাগি করে অদিতি নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন বলে বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের কাছে বিবৃতি দিয়েছেন।

বাসায় জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহারের স্পিরিট ছিল। সেগুলো ঢেলেই তিনি গায়ে আগুন লাগিয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।

অদিতির স্বামী ইঞ্জিনিয়ার মানস মণ্ডলের দাবি, তার স্ত্রী বেশ কিছু দিন ধরে ‘অসুস্থ ও আপসেট’ ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে বাসায় ফিরে জামাকাপড় পাল্টানোর সময় তিনি পাশের ঘরে স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পান।

গিয়ে দেখেন অদিতির গায়ে আগুন জ্বলছে। বাথরুমে নিয়ে তার শরীরে পানি ঢালেন। এর পর ৯৯৯ নম্বরে কল করে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে অদিতিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। অদিতির দুই সন্তান রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নিজের গায়ে আগুন দেওয়া চিকিৎসক মারা গেছেন

প্রকাশিত সময় : ১১:২৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

‘স্বামীর ওপর অভিমান করে’ নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন চিকিৎসক অদিতি সরকার। পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অদিতির মৃত্যু হয় বলে বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান।

গত শুক্রবার থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন ৩৮ বছর বয়সি এ চিকিৎসক। তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

মিটফোর্ড হাসপাতালের নবজাতক শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার অদিতি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৩১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হেয়ারস্ট্রিটের বাসায় তিনি নিজের গায়ে আগুন দেন বলে পুলিশ জানায়।

ওয়ারি থানার ওসি কবির হোসেন হাওলাদার জানিয়েছিলেন, স্বামীর সঙ্গে রাগারাগি করে অদিতি নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন বলে বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের কাছে বিবৃতি দিয়েছেন।

বাসায় জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহারের স্পিরিট ছিল। সেগুলো ঢেলেই তিনি গায়ে আগুন লাগিয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।

অদিতির স্বামী ইঞ্জিনিয়ার মানস মণ্ডলের দাবি, তার স্ত্রী বেশ কিছু দিন ধরে ‘অসুস্থ ও আপসেট’ ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে বাসায় ফিরে জামাকাপড় পাল্টানোর সময় তিনি পাশের ঘরে স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পান।

গিয়ে দেখেন অদিতির গায়ে আগুন জ্বলছে। বাথরুমে নিয়ে তার শরীরে পানি ঢালেন। এর পর ৯৯৯ নম্বরে কল করে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে অদিতিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। অদিতির দুই সন্তান রয়েছে।