তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। তাইওয়ান স্বাধীন হতে চাইলে চীন আক্রমণ করবে- এমন কথাও চীনা কর্মকর্তাদের মুখ থেকে শোনা গেছে। এত কিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে- শিগগিরই তাইওয়ান আক্রমণ করবে না চীন। কিন্তু চীনের সব কর্মকা- চোখে চোখে রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীন যে পদক্ষেপ নেবে তা হবে রাজনৈতিক। সামরিক শক্তি প্রয়োগের চেয়ে বেইজিং রাজনৈতিক কৌশলে অগ্রসর হবে। এ বিষয়ে মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলি বিবিসিকে বলেন, অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই আক্রমণের সক্ষমতা বাড়িয়েছে চীন কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রাজনৈতিকভাবে।
প্রসঙ্গত তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল মনে করলেও চীন মনে করে এটি তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ। তারা চাইলে জোরপূর্বক আবার একত্রীকরণ করতে পারে। একই সঙ্গে বেইজিং কড়া হুশিয়ারি জানিয়ে রেখেছে যে, তাইওয়ানের স্বাধীনতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো সমর্থন করে, তা হলে সব ভেঙে চূর্ণ করা হবে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় তাইওয়ান ইস্যুতে চীন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাইওয়ানের আকাশে প্রতিরক্ষা অঞ্চলে কয়েক দফায় যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে, আর অন্যদিকে তাইওয়ানের জলসীমায় নৌজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, চীন তাইওয়ানের আকাশে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আক্রমণ হলে তাইওয়ানকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। আর যুক্তরাষ্ট্র যদি আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে তা হলে বেইজিং ‘যুদ্ধ করতে দ্বিধা’ করবে না।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 

























