শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি শুক্রবার আহ্বান জানিয়েছে। আর এটি সংঘাতপূর্ণ দেশটির সামরিক জান্তা সরকারকে নিন্দা জানিয়ে গ্রহণ করা বাধ্যবাধকতা না থাকা একটি প্রস্তাবের অংশ। খবর এএফপি’র।

শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ১১৯টি দেশ। স্বৈরশাসিত বেলারুশই একমাত্র এর বিপক্ষে মত দেয়। আর চীন-রাশিয়াসহ মোট ৩৬টি দেশ প্রস্তাবে মতামত দেয়া থেকে বিরত থাকে।

এদিকে কেবলমাত্র একটি দেশ বেলারুশ এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

মতামত প্রদানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে কেউ কেউ এই সংকটকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর অন্যরা বলছে, ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস সামরিক আক্রমণের বিষয়ে উল্লেখ নেই।

বিবিসির খবর অনুসারে, এই প্রস্তাবের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও রাজনৈতিকভাবে এর গুরুত্ব অনেক।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশের পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার দিনই এ ভোটাভুটি হয়। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির বেসামরিক নেতা অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যূত করে।

তবে জাতিসংঘে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ দূত কিয়াও মো তুন বলেছেন, এ ধরনের ‘লঘু’ প্রস্তাব পাস করতে জাতিসংঘের এত দীর্ঘ সময় লাগায় তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।

জাতিসংঘের প্রস্তাবটিতে মিয়ানমারে অং সান সু চিসহ সকল রাজনৈতিক বন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই জান্তা সরকারের বিরোধিতায় রাস্তায় বিক্ষোভ করছে দেশটির জনগণ। জান্তাবিরোধী ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার জনকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

প্রকাশিত সময় : ০১:৩৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি শুক্রবার আহ্বান জানিয়েছে। আর এটি সংঘাতপূর্ণ দেশটির সামরিক জান্তা সরকারকে নিন্দা জানিয়ে গ্রহণ করা বাধ্যবাধকতা না থাকা একটি প্রস্তাবের অংশ। খবর এএফপি’র।

শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ১১৯টি দেশ। স্বৈরশাসিত বেলারুশই একমাত্র এর বিপক্ষে মত দেয়। আর চীন-রাশিয়াসহ মোট ৩৬টি দেশ প্রস্তাবে মতামত দেয়া থেকে বিরত থাকে।

এদিকে কেবলমাত্র একটি দেশ বেলারুশ এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

মতামত প্রদানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে কেউ কেউ এই সংকটকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর অন্যরা বলছে, ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস সামরিক আক্রমণের বিষয়ে উল্লেখ নেই।

বিবিসির খবর অনুসারে, এই প্রস্তাবের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও রাজনৈতিকভাবে এর গুরুত্ব অনেক।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশের পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার দিনই এ ভোটাভুটি হয়। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির বেসামরিক নেতা অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যূত করে।

তবে জাতিসংঘে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ দূত কিয়াও মো তুন বলেছেন, এ ধরনের ‘লঘু’ প্রস্তাব পাস করতে জাতিসংঘের এত দীর্ঘ সময় লাগায় তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।

জাতিসংঘের প্রস্তাবটিতে মিয়ানমারে অং সান সু চিসহ সকল রাজনৈতিক বন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই জান্তা সরকারের বিরোধিতায় রাস্তায় বিক্ষোভ করছে দেশটির জনগণ। জান্তাবিরোধী ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার জনকে।