শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার মতো খাদের কিনারায় প্রায় এক ডজন দেশ

দেশের অর্থনীতির শিরদাঁড়া ভেঙে গেলে ঠিক কী অবস্থা হয়- তা শ্রীলঙ্কাকে দেখলেই বোঝা যায়। খাবার নেই, তেল নেই- ভেঙে পড়া রাজনৈতিক কাঠামো গোটা দুনিয়ার সামনে শ্রীলঙ্কাকে একটা উদাহরণ হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এখন বিপর্যয়ের খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে আরও প্রায় এক ডজন দেশ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এমন দেশগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের অর্থনৈতিক দূরবস্থার দিককে সামনে নিয়ে এসেছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণ, মুদ্রাস্ফীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য চরম বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, মিশর, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, এল সালভাদর, ইকুয়েডর, বেলারুশ, নাইজেরিয়া, পাকিস্তানের মতো দেশ।

পাকিস্তানকে নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণে অবনমন হয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রার। দেশটিতে তেল আমদানির বোঝা এতটাই বেড়েছে যে, সে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে ঠেকেছে। এই অঙ্ক এখন এতটাই কম যে, মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত আমদানি চালিয়ে যেতে পারবে ইসলামাবাদ। 

পাকিস্তানের রাজস্ব আদায়ের ৪০ শতাংশ ঋণের সুদ দিতেই খরচ হয়ে যায়। ফলে শাহবাজ শরিফের নতুন সরকারকে খরচ কমাতে হবে বিরাট আকারে। 

এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। আশঙ্কা করে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পাশে থাকা বেলারুশকেও পশ্চিমা দুনিয়ার বিষ নজরে পড়তে হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শ্রীলঙ্কার মতো খাদের কিনারায় প্রায় এক ডজন দেশ

প্রকাশিত সময় : ১২:২৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২

দেশের অর্থনীতির শিরদাঁড়া ভেঙে গেলে ঠিক কী অবস্থা হয়- তা শ্রীলঙ্কাকে দেখলেই বোঝা যায়। খাবার নেই, তেল নেই- ভেঙে পড়া রাজনৈতিক কাঠামো গোটা দুনিয়ার সামনে শ্রীলঙ্কাকে একটা উদাহরণ হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এখন বিপর্যয়ের খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে আরও প্রায় এক ডজন দেশ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এমন দেশগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের অর্থনৈতিক দূরবস্থার দিককে সামনে নিয়ে এসেছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণ, মুদ্রাস্ফীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য চরম বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, মিশর, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, এল সালভাদর, ইকুয়েডর, বেলারুশ, নাইজেরিয়া, পাকিস্তানের মতো দেশ।

পাকিস্তানকে নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণে অবনমন হয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রার। দেশটিতে তেল আমদানির বোঝা এতটাই বেড়েছে যে, সে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে ঠেকেছে। এই অঙ্ক এখন এতটাই কম যে, মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত আমদানি চালিয়ে যেতে পারবে ইসলামাবাদ। 

পাকিস্তানের রাজস্ব আদায়ের ৪০ শতাংশ ঋণের সুদ দিতেই খরচ হয়ে যায়। ফলে শাহবাজ শরিফের নতুন সরকারকে খরচ কমাতে হবে বিরাট আকারে। 

এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। আশঙ্কা করে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পাশে থাকা বেলারুশকেও পশ্চিমা দুনিয়ার বিষ নজরে পড়তে হতে পারে।