ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইইউবিএটির এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তনে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ৪ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা মিয়ান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে কৃষি, ব্যবসায়, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক, সিভিল, কম্পিউটার, মেকানিক্যাল, ইকোনমিকস, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি এবং নার্সিং বিষয়ে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তনে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্জিয়ার ককেশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টসের বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কখা শেঞ্জেলিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং আইএসি যুক্তরাজ্যের রেসিডেন্ট জাজ ও ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসুল জুলিয়ান ফিলিপস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান জনাব জুবের আলিম। তিনি নতুন গ্র্যাজুয়েটদের সাধুবাদ জানান, পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে মাতৃভূমির উৎকর্ষ সাধন কাজ করার আহ্বান জানান এবং আইইউবিএটির হাত ধরে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও অর্জন তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আইইউবিএটি তার ‘জ্ঞান ভিত্তিক এলাকা উন্নয়ন: কমিউনিটি পর্যায়ে স্বনির্ভরতার’ একটি পদক্ষেপের আওতায় প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন পেশামুখী গ্র্যাজুয়েট তৈরির কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অর্থের কারণে ভর্তি নিরুৎসাহিত করা হয় না এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ৫৩০ টি উপজেলা থেকে শিক্ষার্থী বা গ্র্যাজুয়েট আছেন। এটি বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতিতে নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদক্ষেপ।
দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে এবং দেশে অনেক বিজ্ঞান শিক্ষা ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বহু প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ডিজিটাল বাংলাদেশ ও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি করার ক্ষেত্রে সরকারের অর্জন ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ডেল্টা প্ল্যান তুলে ধরেন।
সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক ড. কখা শেঞ্জেলিয়া বলেন, একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজে জ্ঞানই সঞ্চালক আর সততাই পৃথিবীর অন্যতম সম্পদ। অফুরন্ত সুবিধা ও অসুবিধা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অভূতপূর্ব প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি গ্র্যাজুয়েটদের সফলতায় তাদের পিতামাতা, শিক্ষক ও সমাজের অবদান মনে রাখার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুলিয়ান ফিলিপস আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মিয়ানের সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম।
ভ্যালেডিকটরি বক্তব্য রাখেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং গোল্ড মেডালিষ্ট গ্র্যাজুয়েট আবু বকর সিদ্দিক ।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























