ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।আজ রোববার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন, এজিএম কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আসামিদের মধ্যে শেখ আলতাফ হোসেনকে একটি ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং আরেক ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অপর ৮ আসামির একটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং আরকে ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া আসামিদের আত্মসাৎকৃত এক কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২০ টাকা জরিমানা করেছেন। যা আসামিরা প্রত্যেককে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে দেওয়া হবে। রায় ঘোষণার আগে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর ৫ আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এক কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২২০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এর আগে, সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের দুই মামলায় রায়ে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন পৃথক দুই বিশেষ দায়রা জজ আদালত।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























