গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাইজপাড়া রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মিনি বাসে থাকা নারীসহ চারজন পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ১৫ জন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকা থেকে শ্রমিক নিয়ে উপজেলার টেপিরবাড়ী গ্রামে অবস্থিত জামান ফ্যাশন কারখানায় যাচ্ছিল।
স্থানীয়দের দাবি, গেটম্যানের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। নিহতদের পরিবারের প্রত্যেককে ২০ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
শ্রীপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ জানান, আজ সকাল ৭টা ০৫ মিনিটে ঢাকা থেকে আসা জামালপুরগামী বলাকা এক্সপ্রেস শ্রীপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সাড়ে সাতটার দিকে ট্রেনটি মাইজপাড়া রেল ক্রসিংয়ে পৌঁছায়। এ সময় লেভেল ক্রসিং পার হতে গেলে মিনি বাসের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে জামান ফ্যাশন কারখানার নারী পোশাক শ্রমিকসহ চারজন নিহত হন। আহত হন আরও ১৫ জন। তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় মিনি বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারী নিহত হন। পরে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের দাবি, দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে লাইনম্যান ছিল না। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ রেলওয়ে বিভাগের লোকজন।
ঘটনাস্থলে নিহত রাহিমা খাতুন প্রিয়া উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জুলহাস মিয়ার স্ত্রী। তিনি জামান ফ্যাশন কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। নিহতদের মধ্যে দুজনের লাশ ময়মনসিংহের গফরগাঁও স্টেশনে নামিয়ে হস্তান্তর করেছে জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে ট্রেনের ধাক্কায় দুজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























