জার্মান শিল্পী দম্পতি লুকাস জিলিঞ্জার এবং লিভিয়া জিলিঞ্জার। এই দম্পতির শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় নান্দনিক শিল্পকর্মে সেজে উঠছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন।

গত শুক্রবার থেকে নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন প্ল্যাটটফরমে এই দম্পতি শাটল ট্রেনের বগিগুলোতে আঁকাআঁকি করছেন। এই শিল্পীরা নিজেদের ভালোলাগা থেকেই নিজেদের অর্থায়নেই শাটল ট্রেনের বগিগুলো রাঙিয়ে তুলছেন বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থী তাদের সহযোগিতা করছেন।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম নগরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলাচল করা শাটল ট্রেনের বগিগুলো নান্দনিক শিল্পকর্মে সাজিয়ে তুলছেন জার্মান শিল্পী দম্পতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফরমে এ কার্যক্রম চলছে। শিল্পীদের নিজস্ব সৃজনশীল থিমের পাশাপাশি বগিগুলোতে চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, রেলওয়ে, সিআরবি, সমুদ্রসহ বাংলাদেশের নান্দনিক সৌন্দর্য তুলে ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান জানিয়েছেন, প্রায় ৪ মাস আগে জার্মান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার ও তার স্ত্রী লিভিয়া জিলিঞ্জার চবি উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শাটল ট্রেনের বগিগুলো নান্দনিক শিল্পকর্মে সাজানোর প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আগেও ট্রেনের বগিতে নানা শিল্পকর্ম অঙ্কিত ছিল। সেগুলো পুরনো হয়ে যাওয়ায় নতুন করে বগি সাজানোর পরিকল্পনা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের। জার্মান শিল্পীদের প্রস্তাব পাওয়ায় তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সহায়তা করছেন। জার্মান শিল্পিরা নিজের অর্থায়নেই এ কাজ করছেন।’

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























