শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 আল-কায়েদা নেতা আল-জাওয়াহিরি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে একটি ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করেছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ঘোষণার মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন

আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার খবর নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জাওয়াহিরির বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা ও সহিংসতার প্রমাণ রয়েছে।

“এখন ন্যায় বিচার হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী নেতা আর নেই,” বলেন জো বাইডেন।কর্মকর্তারা বলছেন, যখন আমেরিকার ড্রোন থেকে দুটি মিসাইল হামলা চালানো হয় তখন জাওয়াহির একটি সেফ হাইজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সে বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সী জাওয়াহিরিকে হত্যার জন্য হামলা করতে তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। এজন্য কয়েকমাস পরিকল্পনা করা হয়।
জাওয়াহিরিকে হত্যার মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকায় হামলায় নিহতদের পরিবারের জন্য বিচারের বিষয়টি সুরাহা করবে।

” এর জন্য কতদিন সময় লেগেছে সেটা বড় বিষয় নয়, কোথায় লুকিয়ে ছিল সেটাও কোন ব্যাপার নয়। তুমি যদি আমেরিকার জনগণের জন্য হুমকি হও, তাহলে আমেরিকা তোমাকে খুঁজে বের করবে,” বলেন মি. বাইডেন।

একই সময়ে, তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেন যে, রোববার কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় আমেরিকান ড্রোন হামলা হয়েছে।

তিনি এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।

২০১১ সালে পাকিস্তানে আমেরিকার এক অভিযানে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর আয়মান আল-জাওয়াহিরি আল-কায়েদার নেতৃত্ব নেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

 আল-কায়েদা নেতা আল-জাওয়াহিরি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত

প্রকাশিত সময় : ১১:০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে একটি ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করেছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ঘোষণার মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন

আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার খবর নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জাওয়াহিরির বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা ও সহিংসতার প্রমাণ রয়েছে।

“এখন ন্যায় বিচার হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী নেতা আর নেই,” বলেন জো বাইডেন।কর্মকর্তারা বলছেন, যখন আমেরিকার ড্রোন থেকে দুটি মিসাইল হামলা চালানো হয় তখন জাওয়াহির একটি সেফ হাইজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সে বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সী জাওয়াহিরিকে হত্যার জন্য হামলা করতে তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। এজন্য কয়েকমাস পরিকল্পনা করা হয়।
জাওয়াহিরিকে হত্যার মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকায় হামলায় নিহতদের পরিবারের জন্য বিচারের বিষয়টি সুরাহা করবে।

” এর জন্য কতদিন সময় লেগেছে সেটা বড় বিষয় নয়, কোথায় লুকিয়ে ছিল সেটাও কোন ব্যাপার নয়। তুমি যদি আমেরিকার জনগণের জন্য হুমকি হও, তাহলে আমেরিকা তোমাকে খুঁজে বের করবে,” বলেন মি. বাইডেন।

একই সময়ে, তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেন যে, রোববার কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় আমেরিকান ড্রোন হামলা হয়েছে।

তিনি এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।

২০১১ সালে পাকিস্তানে আমেরিকার এক অভিযানে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর আয়মান আল-জাওয়াহিরি আল-কায়েদার নেতৃত্ব নেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা