শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় আমিরাতের মানবাধিকারকর্মীর মৃত্যু

লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিখ্যাত মানবাধিকারকর্মী আলা আল সিদ্দিক।

রোববার আমিরাতের মানবাধিকারকর্মীরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাদের দাবি, লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে আলা আল সিদ্দিককে।

আলা আল সিদ্দিক মানবাধিকার সংগঠন এএলকিউএসটি নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। মানবাধিকার সংগঠনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পুরো গাল্ফ রিজিয়ন নিয়ে কাজ করে। পরে এক টুইট বার্তায় সিদ্দিকের মৃত্যুর ধরন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এএলকিউএসটি।

২০১২ সাল থেকে সিদ্দিক ও তার স্বামী আব্দুলরহমান বাজুবীর রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন। ২০১১ ও ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার আলা আল সিদ্দিকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনে, যেখানে বলা হয় তিনি রাষ্ট্রের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটকও করা হয়। এরপর যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেন সিদ্দিক ও তার স্বামী আব্দুলরহমান বাজুবীর।

সিদ্দিকের মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন বিশ্বের অন্যান্য মানবাধিকারকর্মীরা। জায়ান্ট লিবার্টি নামের যুক্তরাজ্যের একটি মানবাধিকার সংগঠন বলছে, সিদ্দিকের মৃত্যুতে বিশ্ব মানবাধিকার আন্দোলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এক টুইট বার্তায় ফাতিমা সাইদ নামের এক মানবাধিকারকর্মী বলেছেন, আলা আল সিদ্দিক জীবনের একটি বড় অংশই কাটিয়েছেন নিজের বাবাসহ বিনাদোষে কারাগারে বন্দীদের মুক্তির দাবিতে। তার বাবা হয়তো একদিন কারামুক্তি পাবেন কিন্তু দেখতে পারবেন না মেয়ে সিদ্দিক।

২০১৩ সালে আলা আল সিদ্দিকের বাবা মোহাম্মদ আল সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে সংযুক্ত আরব আমিরাত পুলিশ। তখন থেকেই কারাগারে আছেন তিনি। মোহাম্মদ আল সিদ্দিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন বিখ্যাত আন্দোলনকর্মী।

সূত্র: আল জাজিরা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় আমিরাতের মানবাধিকারকর্মীর মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিখ্যাত মানবাধিকারকর্মী আলা আল সিদ্দিক।

রোববার আমিরাতের মানবাধিকারকর্মীরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাদের দাবি, লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে আলা আল সিদ্দিককে।

আলা আল সিদ্দিক মানবাধিকার সংগঠন এএলকিউএসটি নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। মানবাধিকার সংগঠনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পুরো গাল্ফ রিজিয়ন নিয়ে কাজ করে। পরে এক টুইট বার্তায় সিদ্দিকের মৃত্যুর ধরন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এএলকিউএসটি।

২০১২ সাল থেকে সিদ্দিক ও তার স্বামী আব্দুলরহমান বাজুবীর রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন। ২০১১ ও ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার আলা আল সিদ্দিকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনে, যেখানে বলা হয় তিনি রাষ্ট্রের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটকও করা হয়। এরপর যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেন সিদ্দিক ও তার স্বামী আব্দুলরহমান বাজুবীর।

সিদ্দিকের মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন বিশ্বের অন্যান্য মানবাধিকারকর্মীরা। জায়ান্ট লিবার্টি নামের যুক্তরাজ্যের একটি মানবাধিকার সংগঠন বলছে, সিদ্দিকের মৃত্যুতে বিশ্ব মানবাধিকার আন্দোলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এক টুইট বার্তায় ফাতিমা সাইদ নামের এক মানবাধিকারকর্মী বলেছেন, আলা আল সিদ্দিক জীবনের একটি বড় অংশই কাটিয়েছেন নিজের বাবাসহ বিনাদোষে কারাগারে বন্দীদের মুক্তির দাবিতে। তার বাবা হয়তো একদিন কারামুক্তি পাবেন কিন্তু দেখতে পারবেন না মেয়ে সিদ্দিক।

২০১৩ সালে আলা আল সিদ্দিকের বাবা মোহাম্মদ আল সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে সংযুক্ত আরব আমিরাত পুলিশ। তখন থেকেই কারাগারে আছেন তিনি। মোহাম্মদ আল সিদ্দিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন বিখ্যাত আন্দোলনকর্মী।

সূত্র: আল জাজিরা