শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সামরিক হুমকি সত্ত্বেও পিছু হটবে না তাইওয়ান

বড় ধরনের সামরিক হুমকির মুখেও পিছু হটবেন না বলে জানিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। 

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয় থেকে দেওয়া এক ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

সাই ইং-ওয়েন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ তাইওয়ান প্রণালীর নিরাপত্তাকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগের আরেকটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই দ্বীপের ওপর যেকোনও আগ্রাসন সমগ্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখবো। একইসঙ্গে যৌথভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য আমরা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।’

সাই ইং-ওয়েন বলেন, তাইওয়ান তার আত্মরক্ষার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাপ্লাই চেইনের মতো বিষয়গুলোতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও জোরালো করা হবে।

এদিকে বুধবার তাইওয়ানের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বুধবার সকালে সেখানে দেওয়া এ ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সংসদীয় আদানপ্রদান আরও বাড়াতে চান তিনি।

সকালে পার্লামেন্ট ভবনে পৌঁছালে সেখানে মার্কিন স্পিকারকে স্বাগত জানান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাই খাই চং। পরে সেখানে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানের সমাজব্যবস্থাকে ‘বিশ্বের অন্যতম মুক্ত সমাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ন্যান্সি পেলোসি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সামরিক হুমকি সত্ত্বেও পিছু হটবে না তাইওয়ান

প্রকাশিত সময় : ০৫:১৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

বড় ধরনের সামরিক হুমকির মুখেও পিছু হটবেন না বলে জানিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। 

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয় থেকে দেওয়া এক ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

সাই ইং-ওয়েন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ তাইওয়ান প্রণালীর নিরাপত্তাকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগের আরেকটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই দ্বীপের ওপর যেকোনও আগ্রাসন সমগ্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখবো। একইসঙ্গে যৌথভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য আমরা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।’

সাই ইং-ওয়েন বলেন, তাইওয়ান তার আত্মরক্ষার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাপ্লাই চেইনের মতো বিষয়গুলোতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও জোরালো করা হবে।

এদিকে বুধবার তাইওয়ানের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বুধবার সকালে সেখানে দেওয়া এ ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সংসদীয় আদানপ্রদান আরও বাড়াতে চান তিনি।

সকালে পার্লামেন্ট ভবনে পৌঁছালে সেখানে মার্কিন স্পিকারকে স্বাগত জানান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাই খাই চং। পরে সেখানে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানের সমাজব্যবস্থাকে ‘বিশ্বের অন্যতম মুক্ত সমাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ন্যান্সি পেলোসি।