রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুয়েটের ঘটনা ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ হিসেবে দেখছে ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালনকে ঘিরে সৃষ্ট ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ হিসেবে দেখছে ছাত্রলীগ।

রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যারা মাথাচাড়া দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হবে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুরোধ করব তারা যারা শোক দিবসের কর্মসূচি বানচালের প্রচেষ্টা নিয়েছে তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা উচিত। তারা রাষ্ট্রদ্রোহের মতো কাজ করেছে।  

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন না। কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানে জাতির পিতা দেশের মানুষের জন্য কি করেছিলেন। আমি মনে করি জামায়াত শিবিরের কুচক্রী মহল যারা বাংলাদেশকে কখনো মেনে নেয়নি তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আপনারা জানেন বুয়েটে আগস্ট মাসে জাতির পিতার জন্য একটি শোক সভার আয়োজন করেছিলেন সাবেক নেতারা। যারা এদেশের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইদের সঙ্গে কি বেয়াদবি করল। এ ধরনের বেয়াদবদের কখনো ভালো কিছু বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি না।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেইনি। আমরা প্রশাসনকেও বলেছি। যার বিচার কাজ চলছে। সুতরাং কারা স্লোগান দেয় ছাত্রলীগের ঠিকানা নাকি তাদের ক্যাম্পাসে হবে না? এত সহজ? বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস রয়েছে। ছাত্রলীগকে যারা ঠিকানা মনে করেন না তাদের উদ্দেশ্য আমরা বুঝে গেছি।

বুয়েটের প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে আপনারা কি বুঝাতে চান? আপনারা কি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে বুয়েটকে জঙ্গি মুক্ত করতে পারবেন? পারবেন না। আপনাদের জন্য অশনি সংকেত, এই জঙ্গিচক্র আপনাদেরই প্রথমে হত্যা করবে। আপনাদের এখনি সচেতন হওয়া উচিত। বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার এখতিয়ার কারো নেই। আপনারা আবারো বিবেচনা করুন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বুয়েটের ঘটনা ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ হিসেবে দেখছে ছাত্রলীগ

প্রকাশিত সময় : ০৫:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালনকে ঘিরে সৃষ্ট ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ হিসেবে দেখছে ছাত্রলীগ।

রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যারা মাথাচাড়া দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হবে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুরোধ করব তারা যারা শোক দিবসের কর্মসূচি বানচালের প্রচেষ্টা নিয়েছে তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা উচিত। তারা রাষ্ট্রদ্রোহের মতো কাজ করেছে।  

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন না। কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানে জাতির পিতা দেশের মানুষের জন্য কি করেছিলেন। আমি মনে করি জামায়াত শিবিরের কুচক্রী মহল যারা বাংলাদেশকে কখনো মেনে নেয়নি তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আপনারা জানেন বুয়েটে আগস্ট মাসে জাতির পিতার জন্য একটি শোক সভার আয়োজন করেছিলেন সাবেক নেতারা। যারা এদেশের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইদের সঙ্গে কি বেয়াদবি করল। এ ধরনের বেয়াদবদের কখনো ভালো কিছু বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি না।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেইনি। আমরা প্রশাসনকেও বলেছি। যার বিচার কাজ চলছে। সুতরাং কারা স্লোগান দেয় ছাত্রলীগের ঠিকানা নাকি তাদের ক্যাম্পাসে হবে না? এত সহজ? বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস রয়েছে। ছাত্রলীগকে যারা ঠিকানা মনে করেন না তাদের উদ্দেশ্য আমরা বুঝে গেছি।

বুয়েটের প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে আপনারা কি বুঝাতে চান? আপনারা কি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে বুয়েটকে জঙ্গি মুক্ত করতে পারবেন? পারবেন না। আপনাদের জন্য অশনি সংকেত, এই জঙ্গিচক্র আপনাদেরই প্রথমে হত্যা করবে। আপনাদের এখনি সচেতন হওয়া উচিত। বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার এখতিয়ার কারো নেই। আপনারা আবারো বিবেচনা করুন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।