শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিম জং উনকে পুতিনের চিঠি

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে চিঠি পাঠিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স, আল জাজিরা।

কিম জং উনকে পুতিন বলেছেন, দুই দেশ ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যাপক ও গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসারিত করবে।’ সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

উত্তর কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবসে কিমকে লেখা একটি চিঠিতে পুতিন বলেন, উভয় দেশের স্বার্থের জন্যই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রয়োজন এবং এটি কোরীয় উপদ্বীপ ও উত্তর-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

এর আগে কিম জং উনও পুতিনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়।

কিম তার চিঠিতে দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত সহযোগিতা, সমর্থন এবং সংহতির কথা উল্লেখ করেন। মূলত একই শত্রু দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা।

এ ক্ষেত্রে শত্রু দেশগুলোর সামরিক বাহিনীর হুমকি এবং উস্কানিকে প্রতিহত করতে তারা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নতুন স্তরে পৌঁছেছেন বলে উল্লেখ করেছেন কিম।

সরাসরি শত্রু দেশ হিসেবে উল্লেখ না করলেও এটা সহজেই ধারণা করা যায় যে, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর। শত্রু বলতে এসব দেশকেই বোঝানো হচ্ছে।

এর আগে ২০১৯ সালে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ই স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির ভিত্তিতে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন কিম।

সুত্রঃ জাগো নিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কিম জং উনকে পুতিনের চিঠি

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে চিঠি পাঠিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স, আল জাজিরা।

কিম জং উনকে পুতিন বলেছেন, দুই দেশ ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যাপক ও গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসারিত করবে।’ সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

উত্তর কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবসে কিমকে লেখা একটি চিঠিতে পুতিন বলেন, উভয় দেশের স্বার্থের জন্যই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রয়োজন এবং এটি কোরীয় উপদ্বীপ ও উত্তর-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

এর আগে কিম জং উনও পুতিনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়।

কিম তার চিঠিতে দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত সহযোগিতা, সমর্থন এবং সংহতির কথা উল্লেখ করেন। মূলত একই শত্রু দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা।

এ ক্ষেত্রে শত্রু দেশগুলোর সামরিক বাহিনীর হুমকি এবং উস্কানিকে প্রতিহত করতে তারা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নতুন স্তরে পৌঁছেছেন বলে উল্লেখ করেছেন কিম।

সরাসরি শত্রু দেশ হিসেবে উল্লেখ না করলেও এটা সহজেই ধারণা করা যায় যে, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর। শত্রু বলতে এসব দেশকেই বোঝানো হচ্ছে।

এর আগে ২০১৯ সালে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ই স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির ভিত্তিতে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন কিম।

সুত্রঃ জাগো নিউজ