ভোর ৬টা থেকে রাজধানী ঢাকার আশেপাশের ৭ জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। চলবে ৩০শে জুন। সকাল থেকে কোনো জেলা থেকে প্রবেশ করছে না যাত্রীবাহী বাস। বন্ধ যাত্রীবাহী সব যান।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের সঙ্কটে দুর্ভোগে পড়েছে গাজীপুর ও টঙ্গীর সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে চলছে না লোকাল কোন বাস। বন্ধ করা হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও। যানবাহন না পেয়ে অফিসগামীরা পায়ে হেঁটেই যাচ্ছেন।তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে লোকাল যানবাহন বন্ধ থাকলেও মহাসড়কে কিছু কিছু যানবাহন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই চলাচল করছে।
গাজীপুর থেকে অনেকেই ঢাকা অফিস করেন। তারা গাজীপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার যানবাহন না পেয়ে টঙ্গী থেকে পায়ে হেঁটে আব্দুল্লাহপুর যাচ্ছেন। এদিকে আজ থেকে জয়দেবপুর জংশনে কোন ট্রেন না থাকায় যাত্রীরা আরও বেশি বিপাকে পড়েছেন ।
জয়দেবপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজীপুর জংশনে আজ থেকে কোন ট্রেন থামবে না ।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে হঠাৎ করেই সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে এর প্রভাব ঢাকায় আসতে থাকায় রাজধানীকে সারা দেশ থেকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকার চারপাশের সাতটি জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর। এসব জেলায় জরুরি সেবা লকডাউনের আত্ততামুক্ত থাকবে। এছাড়াও, অন্য কোনো জেলা প্রশাসন প্রয়োজন মনে হলে সে জেলাতেও বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।

দৈনিক দেশ নিউজ বিডি ডটকম ডেস্ক 






















