শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা জারি

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কম্পিত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬। দেশটির স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জানা গেছে, কম্পনের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকলকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার গভীরে কাইনানতু শহরে। সবচেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে গোরোকা, লায়ে এবং মাদাং শহরে। কম্পনের উৎসস্থলের খুব কাছাকাছি থাকায় এই শহরগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

মাদাং শহরের এক বাসিন্দা বিভি আপোকোরে গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রবল একটা ঝাঁকুনি অনুভব করলাম। তারপর ঘরবাড়ি সব খেলনার মতো দুলছিল।”

এই ভয়াবহ ঘটনায় রাস্তাঘাট, বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা, তা এখনও জানা যায়নি। হতাহতের খবরও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

পাপুয়া নিউগিনি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এর মধ্যে পড়ে। ফলে মাঝেমধ্যেই কেঁপে ওঠে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি।

এর আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পাপুয়া নিউগিনিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা জারি

প্রকাশিত সময় : ১০:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কম্পিত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬। দেশটির স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জানা গেছে, কম্পনের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকলকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার গভীরে কাইনানতু শহরে। সবচেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে গোরোকা, লায়ে এবং মাদাং শহরে। কম্পনের উৎসস্থলের খুব কাছাকাছি থাকায় এই শহরগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

মাদাং শহরের এক বাসিন্দা বিভি আপোকোরে গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রবল একটা ঝাঁকুনি অনুভব করলাম। তারপর ঘরবাড়ি সব খেলনার মতো দুলছিল।”

এই ভয়াবহ ঘটনায় রাস্তাঘাট, বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা, তা এখনও জানা যায়নি। হতাহতের খবরও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

পাপুয়া নিউগিনি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এর মধ্যে পড়ে। ফলে মাঝেমধ্যেই কেঁপে ওঠে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি।

এর আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।