শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুখের আশায় ৫৩ বিয়ে!

ব্যক্তিগত প্রশান্তি নয়, মনের প্রশান্তির জন্য একে একে ৫৩টি বিয়ে করেছেন এক সৌদি নাগরিক। এ বিয়েকে শতাব্দির সেরা বহুবিবাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ৬৩ বছর বয়সী সৌদির ওই নাগরিক দেশটির মালিকানাধীন এমবিএস টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সর্বশেষ এক নারীকে বিয়ের কথা জানান। তিনি বলেন, এখন তার আর কোনো বিয়ে করার ইচ্ছা নেই। খবর গালফ নিউজের।

ওই সৌদি নাগরিক বলেন, আমি যখন প্রথম বিয়ে করি তখন আমার বহু বিবাহ করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। কারণ প্রথম বিয়ে করে আমি সুখেই ছিলাম এবং আমার একটা সন্তানও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দেয়ার কারণে আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে হলো। তখন আমার বয়স ছিল ২৩ বছর। দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত আমার স্ত্রীকে জানাই। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হলে আমি তৃতীয় এবং চতুর্থ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই। পরবর্তীতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্ত্রী তালাক দেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার জীবনে এমন একজন নারীকে খুঁজেছেন যিনি তাকে শান্তিতে রাখতে পারেন। তবে তিনি যাদেরকে বিয়ে করেছেন তাদের তিনি ন্যায্য অধিকার দিয়েছেন। দীর্ঘ সময় নিয়ে আমি ৫৩ নম্বর বিয়ে করেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক পুরুষই চায় একজন নারীর সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে। কিন্তু এটা যুবতী কোনো নারীর সঙ্গে সম্ভব নয়। যতটা সম্ভব একজন বয়স্ক নারীর সঙ্গে। তিনি একজন স্ত্রীর সঙ্গে সবচেয়ে কম সময় পার করেছেন। তার সঙ্গে মাত্র এক রাত থেকেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।

তার বিয়ে করা নারীর মধ্যে অধিকাংশই সৌদি। তবে তিনি যখন ব্যবসায়ের কাজের জন্য অন্য দেশে ভ্রমণ করেছেন তখন চরিত্র হেফাজত রাখার জন্য সৌদি আরবের বাইরের নারীদেরও বিয়ে করেছেন। কারণ ব্যবসায়ের জন্য তিনি থেকে চার মাস বাইরে থাকতেন।

ইসলাম একসঙ্গে চারটি বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক স্ত্রীর সঙ্গে যদি সমান অধিকার বজায় রাখা না যায় তাহলে একটি বিবাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার কথা বলেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সুখের আশায় ৫৩ বিয়ে!

প্রকাশিত সময় : ০৯:০৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ব্যক্তিগত প্রশান্তি নয়, মনের প্রশান্তির জন্য একে একে ৫৩টি বিয়ে করেছেন এক সৌদি নাগরিক। এ বিয়েকে শতাব্দির সেরা বহুবিবাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ৬৩ বছর বয়সী সৌদির ওই নাগরিক দেশটির মালিকানাধীন এমবিএস টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সর্বশেষ এক নারীকে বিয়ের কথা জানান। তিনি বলেন, এখন তার আর কোনো বিয়ে করার ইচ্ছা নেই। খবর গালফ নিউজের।

ওই সৌদি নাগরিক বলেন, আমি যখন প্রথম বিয়ে করি তখন আমার বহু বিবাহ করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। কারণ প্রথম বিয়ে করে আমি সুখেই ছিলাম এবং আমার একটা সন্তানও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দেয়ার কারণে আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে হলো। তখন আমার বয়স ছিল ২৩ বছর। দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত আমার স্ত্রীকে জানাই। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হলে আমি তৃতীয় এবং চতুর্থ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই। পরবর্তীতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্ত্রী তালাক দেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার জীবনে এমন একজন নারীকে খুঁজেছেন যিনি তাকে শান্তিতে রাখতে পারেন। তবে তিনি যাদেরকে বিয়ে করেছেন তাদের তিনি ন্যায্য অধিকার দিয়েছেন। দীর্ঘ সময় নিয়ে আমি ৫৩ নম্বর বিয়ে করেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক পুরুষই চায় একজন নারীর সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে। কিন্তু এটা যুবতী কোনো নারীর সঙ্গে সম্ভব নয়। যতটা সম্ভব একজন বয়স্ক নারীর সঙ্গে। তিনি একজন স্ত্রীর সঙ্গে সবচেয়ে কম সময় পার করেছেন। তার সঙ্গে মাত্র এক রাত থেকেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।

তার বিয়ে করা নারীর মধ্যে অধিকাংশই সৌদি। তবে তিনি যখন ব্যবসায়ের কাজের জন্য অন্য দেশে ভ্রমণ করেছেন তখন চরিত্র হেফাজত রাখার জন্য সৌদি আরবের বাইরের নারীদেরও বিয়ে করেছেন। কারণ ব্যবসায়ের জন্য তিনি থেকে চার মাস বাইরে থাকতেন।

ইসলাম একসঙ্গে চারটি বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক স্ত্রীর সঙ্গে যদি সমান অধিকার বজায় রাখা না যায় তাহলে একটি বিবাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার কথা বলেছে।