শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ সেনা নিহত

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে লড়াইয়ে প্রায় ১০০ সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, তাদের ৪৯ জন সৈন্য রাতারাতি সংঘর্ষে মারা গেছে, অন্যদিকে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তাদের ৫০ জন সৈন্যও নিহত হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এ লড়াইয়ের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, প্রতিবেশী দেশ দুটি প্রায় ত্রিশ বছর ধরে নিয়মিত ছোট ছোট সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার, রাশিয়া বলেছে, দু দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছে।

আর্মেনিয়ার দাবি- গোরিস, সোক এবং জেরমুক শহরে সেনা অবস্থান লক্ষ্য করে ভারি গোলাবর্ষণ শুরু করে আজারবাইজান সামরিক বাহিনী। ড্রোন এবং দূর পাল্লার কামান থেকে এসব গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় পাল্টা জবাব দেয় আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীও।

তবে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, সীমান্তের দাশকেসান, কেলবাজর এবং লাচিন শহরের কাছে প্রথমে গোলা বর্ষণ করে আর্মেনিয়ার সেনারা। তারই জবাবে প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়।

উল্লেখ্য, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের মধ্যে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালে যুদ্ধের পর থেকে সেটি জাতিগত আর্মেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০২০ সালের যুদ্ধে অঞ্চলটি ফের দখলে নেয় আজারি সৈন্যরা। ছয় সপ্তাহের ওই যুদ্ধে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ সেনা নিহত

প্রকাশিত সময় : ০২:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে লড়াইয়ে প্রায় ১০০ সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, তাদের ৪৯ জন সৈন্য রাতারাতি সংঘর্ষে মারা গেছে, অন্যদিকে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তাদের ৫০ জন সৈন্যও নিহত হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এ লড়াইয়ের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, প্রতিবেশী দেশ দুটি প্রায় ত্রিশ বছর ধরে নিয়মিত ছোট ছোট সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার, রাশিয়া বলেছে, দু দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছে।

আর্মেনিয়ার দাবি- গোরিস, সোক এবং জেরমুক শহরে সেনা অবস্থান লক্ষ্য করে ভারি গোলাবর্ষণ শুরু করে আজারবাইজান সামরিক বাহিনী। ড্রোন এবং দূর পাল্লার কামান থেকে এসব গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় পাল্টা জবাব দেয় আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীও।

তবে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, সীমান্তের দাশকেসান, কেলবাজর এবং লাচিন শহরের কাছে প্রথমে গোলা বর্ষণ করে আর্মেনিয়ার সেনারা। তারই জবাবে প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়।

উল্লেখ্য, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের মধ্যে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালে যুদ্ধের পর থেকে সেটি জাতিগত আর্মেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০২০ সালের যুদ্ধে অঞ্চলটি ফের দখলে নেয় আজারি সৈন্যরা। ছয় সপ্তাহের ওই যুদ্ধে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়।