শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুতিনের সেনা সমাবেশের ডাকে রাশিয়া জুড়ে বিক্ষোভ

নতুন করে সেনা সমাবেশের ডাক দিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে ইউক্রেন আক্রমনে নতুন করে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আর এটিকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ান পুলিশ ১ হাজারেরও বেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে।

মস্কো এবং সেইন্ট পিটার্সবার্গে বিক্ষোভের সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গ্রেফতার।
 
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘আংশিক সেনা সমাবেশের’ ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম রাশিয়া এ ধরনের সেনা সমাবেশ করতে যাচ্ছে। এই আংশিক সেনা সমাবেশে ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্যকেও ডাকা হবে। 

একই সঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জয় পেতে আরও সেনা পাঠাতে চান বলে ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুমকি দিয়ে বলেন, “আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা যদি হুমকির মধ্যে পড়ে, রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবরকমের পদক্ষেপ নেবো।” 

তিনি আরও জানান, যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি বজায় থাকুক।

এমন সময়ে পুতিন এ ভাষণটি দিলেন, যখন মস্কো পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিরাট অঞ্চলে মস্কো অনুগত নেতারা গণভোটের ডাক দিয়েছে। ওই গণভোট ডাকার পরদিনই তিনি রিজার্ভ সেনাদের ডাকার নির্দেশ দিলেন।

এমন ঘোষণার পরেই রাশিয়ায় প্রায় ডজনেরও বেশি শহরে বিক্ষোভে নেমেছেন যুদ্ধবিরোধীরা।  
সূত্রঃ বিবিসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পুতিনের সেনা সমাবেশের ডাকে রাশিয়া জুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত সময় : ০১:০০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

নতুন করে সেনা সমাবেশের ডাক দিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে ইউক্রেন আক্রমনে নতুন করে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আর এটিকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ান পুলিশ ১ হাজারেরও বেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে।

মস্কো এবং সেইন্ট পিটার্সবার্গে বিক্ষোভের সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গ্রেফতার।
 
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘আংশিক সেনা সমাবেশের’ ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম রাশিয়া এ ধরনের সেনা সমাবেশ করতে যাচ্ছে। এই আংশিক সেনা সমাবেশে ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্যকেও ডাকা হবে। 

একই সঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জয় পেতে আরও সেনা পাঠাতে চান বলে ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুমকি দিয়ে বলেন, “আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা যদি হুমকির মধ্যে পড়ে, রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবরকমের পদক্ষেপ নেবো।” 

তিনি আরও জানান, যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি বজায় থাকুক।

এমন সময়ে পুতিন এ ভাষণটি দিলেন, যখন মস্কো পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিরাট অঞ্চলে মস্কো অনুগত নেতারা গণভোটের ডাক দিয়েছে। ওই গণভোট ডাকার পরদিনই তিনি রিজার্ভ সেনাদের ডাকার নির্দেশ দিলেন।

এমন ঘোষণার পরেই রাশিয়ায় প্রায় ডজনেরও বেশি শহরে বিক্ষোভে নেমেছেন যুদ্ধবিরোধীরা।  
সূত্রঃ বিবিসি