শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালেবানের উদ্দেশে মোদি: হিংস্রতার শাসন বেশিদিন টেকে না

আফগানিস্তানে দখলের পরেই কার্যত তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে তালেবানরা। শান্তির কথা বললেও কাজের ক্ষেত্রে মুখোশের আড়াল থেকে বেরিয়ে পড়ছে নির্মম মুখ। গত রবিবার কাবুলের পতনের পর থেকে একাধিক জায়গায় আফগানিস্তানে মানুষকে মারতে শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। সেখানেই থেমে থাকেনি হিংস্রতা। ভারতের দূতাবাসে ঢুকে তাণ্ডব চালায় তারা। এরপরই মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মোদি শুক্রবার ট্যুইটে সাফ জানিয়েছেন, ‘হিংস্রতা দিয়ে স্থাপিত শাসন কখনও বেশিদিন টেকে না। সন্ত্রাস আর আতঙ্ক দিয়ে যে জিনিসের শুরু হয়, তার স্থায়িত্ব অনেক কম।’

ভারতের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যেই দিল্লি নিজের জায়গা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে আফগানিস্তানে ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে তালেবান, ফিরে আসছে ২০ বছর আগের দগদগে স্মৃতি। জানা যায়, আফগানিস্তানে ঘরে ঘরে ঢুকে তালিবান সদস্যরা খোঁজ করছে কোন কোন বাড়িতে আফগান সেনা সদস্য ও তাদের সহযোগিরা আছে। কোন বাড়িগুলিতে ন্যাটো বাহিনি কিম্বা রাষ্ট্রসংঘের দূতরা লুকিয়ে রয়েছেন সেসব খুঁটিয়ে দেখছে তালেবানরা। কার্যত গোটা দেশ নরকের আকার নিয়েছে আফগানিস্তানে।

অন্যদিকে এদিন স্পষ্ট ভাষায় চীনের সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা দিয়ে দিয়েছে তালিবানরা। তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উন্নতিতে চীনকে তারা আহ্বান করতে চায়। কারণ চীনের অর্থনীতি খুবই ভালো ও বৃহৎ। তাতে আফগানিস্তানের উন্নতি হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

তালেবানের উদ্দেশে মোদি: হিংস্রতার শাসন বেশিদিন টেকে না

প্রকাশিত সময় : ১০:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অগাস্ট ২০২১

আফগানিস্তানে দখলের পরেই কার্যত তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে তালেবানরা। শান্তির কথা বললেও কাজের ক্ষেত্রে মুখোশের আড়াল থেকে বেরিয়ে পড়ছে নির্মম মুখ। গত রবিবার কাবুলের পতনের পর থেকে একাধিক জায়গায় আফগানিস্তানে মানুষকে মারতে শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। সেখানেই থেমে থাকেনি হিংস্রতা। ভারতের দূতাবাসে ঢুকে তাণ্ডব চালায় তারা। এরপরই মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মোদি শুক্রবার ট্যুইটে সাফ জানিয়েছেন, ‘হিংস্রতা দিয়ে স্থাপিত শাসন কখনও বেশিদিন টেকে না। সন্ত্রাস আর আতঙ্ক দিয়ে যে জিনিসের শুরু হয়, তার স্থায়িত্ব অনেক কম।’

ভারতের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যেই দিল্লি নিজের জায়গা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে আফগানিস্তানে ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে তালেবান, ফিরে আসছে ২০ বছর আগের দগদগে স্মৃতি। জানা যায়, আফগানিস্তানে ঘরে ঘরে ঢুকে তালিবান সদস্যরা খোঁজ করছে কোন কোন বাড়িতে আফগান সেনা সদস্য ও তাদের সহযোগিরা আছে। কোন বাড়িগুলিতে ন্যাটো বাহিনি কিম্বা রাষ্ট্রসংঘের দূতরা লুকিয়ে রয়েছেন সেসব খুঁটিয়ে দেখছে তালেবানরা। কার্যত গোটা দেশ নরকের আকার নিয়েছে আফগানিস্তানে।

অন্যদিকে এদিন স্পষ্ট ভাষায় চীনের সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা দিয়ে দিয়েছে তালিবানরা। তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উন্নতিতে চীনকে তারা আহ্বান করতে চায়। কারণ চীনের অর্থনীতি খুবই ভালো ও বৃহৎ। তাতে আফগানিস্তানের উন্নতি হবে।