রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মরিয়মসহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেছেন মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম নিখোঁজের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতেন। অবিলম্বে মরিয়ম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন ও নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানান তাঁরা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে রহিমা বেগমের অপহরণ মামলার আসামি মো. মহিউদ্দীনের নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, মামলায় গ্রেপ্তার মো. মহিউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ওরফে পলাশ, নুরুল আলম ওরফে জুয়েল এবং হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই খুলনা পৌর শহরের দৌলতপুরের থানাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, রহিমা বেগম ও তাঁর সন্তানেরা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছেন। ওই পরিবার ‘মামলাবাজ পরিবার’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রতিবেশীদের ঘায়েল করার জন্য অপহরণের মামলা করা হয়েছিল। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁরা প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছেন। কয়েক বছর আগে ৮ থেকে ৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তাঁরা প্রতিবেশীদের মামলার ভয় দেখান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মরিয়মের বাবা মান্নান তিনটি বিয়ে করেছিলেন। এর মধ্যে মান্নানের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া জমি কিনেছিলেন। কিন্তু রহিমা বেগম ও তাঁর পরিবারের লোকজন সেই জমির দখল নিতে দেননি। উল্টো এ ঘটনায় মানহানির মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। সেই মামলায় হেলাল শরীফসহ পাঁচজন আসামি ছিলেন। ওই মামলায় আসামিরা সবাই আগাম জামিন নেন। পরে সেই পাঁচজনের নামেই অপহরণ মামলা করা হয়। আগের মামলায় জামিন হওয়ার পরই নতুন করে ফাঁসানোর জন্য রহিমা বেগমের পরিবার অপহরণের ঘটনা সাজায় বলে দাবি করা হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মরিয়মসহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত সময় : ১১:১৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেছেন মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম নিখোঁজের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতেন। অবিলম্বে মরিয়ম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন ও নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানান তাঁরা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে রহিমা বেগমের অপহরণ মামলার আসামি মো. মহিউদ্দীনের নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, মামলায় গ্রেপ্তার মো. মহিউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ওরফে পলাশ, নুরুল আলম ওরফে জুয়েল এবং হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই খুলনা পৌর শহরের দৌলতপুরের থানাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, রহিমা বেগম ও তাঁর সন্তানেরা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছেন। ওই পরিবার ‘মামলাবাজ পরিবার’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রতিবেশীদের ঘায়েল করার জন্য অপহরণের মামলা করা হয়েছিল। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁরা প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছেন। কয়েক বছর আগে ৮ থেকে ৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তাঁরা প্রতিবেশীদের মামলার ভয় দেখান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মরিয়মের বাবা মান্নান তিনটি বিয়ে করেছিলেন। এর মধ্যে মান্নানের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া জমি কিনেছিলেন। কিন্তু রহিমা বেগম ও তাঁর পরিবারের লোকজন সেই জমির দখল নিতে দেননি। উল্টো এ ঘটনায় মানহানির মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। সেই মামলায় হেলাল শরীফসহ পাঁচজন আসামি ছিলেন। ওই মামলায় আসামিরা সবাই আগাম জামিন নেন। পরে সেই পাঁচজনের নামেই অপহরণ মামলা করা হয়। আগের মামলায় জামিন হওয়ার পরই নতুন করে ফাঁসানোর জন্য রহিমা বেগমের পরিবার অপহরণের ঘটনা সাজায় বলে দাবি করা হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো