শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতিরোধের মুখে নিহত ১৫ তালেবান, তিন জেলা দখল বিরোধীদের

পঞ্জশির এবং পারওয়ানের পরে এ বার বাগলান প্রদেশ। ফের তালেবান ফৌজের উপর প্রত্যাঘাত বিরোধী জোটের। শুক্রবার উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের ওই প্রদেশের তিনটি জেলা তালেবানের দখলমুক্ত করেছে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্‌র অনুগত বাহিনী।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তীব্র লড়াইয়ের পর শুক্রবার পঞ্জশির লাগোয়া বাগলান প্রদেশের বানু, পুল-ই-হিসার এবং দে-সালাহ্‌ জেলা পুনরুদ্ধার করেছে বিরোধী জোট। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন তালেবান যোদ্ধা। আহতও বেশ কয়েক জন। সালেহ্‌ অনুগত যোদ্ধারা রাজধানী পুল-ই-খুমরির অদূরে পৌঁছে গিয়েছে বলে ওই খবরে দাবি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

কাবুলের পতনের পরেও সালেহ্‌ জানিয়েছিলেন, তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বুধবার মধ্য-উত্তরাংশের পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকার-সহ বেশ কিছু এলাকা ছিনিয়ে নেয় তালেবান বিরোধী বাহিনী। বাগলান প্রদেশের তালেবান বিরোধী বাহিনীর কমান্ডার আব্দুল হামিদ শনিবার বলেছেন। ‘শীঘ্রই উত্তর আফগানিস্তানের আরও কিছু এলাকার দখন নেব আমরা।’’

ইতিমধ্যেই সালেহ্‌র সঙ্গে পঞ্জশির প্রদেশের প্রভাবশালী তাজিক নেতা আহমেদ মাসুদ হাত মিলিয়েছেন। পঞ্জশির এলাকার মাসুদের অনুগত যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আর এক প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের ‘যুদ্ধপতি’ (ওয়ারলর্ড) আব্দুল রশিদ দোস্তমও রয়েছেন এই জোটে। ওই উজবেক নেতার বড় ছেলে ইয়ার মহম্মদ দোস্তাম প্রায় ৮ হাজার নিয়ে তালিবান বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন বলে খবর।

পারওয়ান এবং বাগলান প্রদেশ দখলে এলে উত্তর আফগানিস্তানের বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরিফে অবস্থানরত তালিব বাহিনীর সঙ্গে রাজধানী কাবুলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

প্রতিরোধের মুখে নিহত ১৫ তালেবান, তিন জেলা দখল বিরোধীদের

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

পঞ্জশির এবং পারওয়ানের পরে এ বার বাগলান প্রদেশ। ফের তালেবান ফৌজের উপর প্রত্যাঘাত বিরোধী জোটের। শুক্রবার উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের ওই প্রদেশের তিনটি জেলা তালেবানের দখলমুক্ত করেছে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্‌র অনুগত বাহিনী।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তীব্র লড়াইয়ের পর শুক্রবার পঞ্জশির লাগোয়া বাগলান প্রদেশের বানু, পুল-ই-হিসার এবং দে-সালাহ্‌ জেলা পুনরুদ্ধার করেছে বিরোধী জোট। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন তালেবান যোদ্ধা। আহতও বেশ কয়েক জন। সালেহ্‌ অনুগত যোদ্ধারা রাজধানী পুল-ই-খুমরির অদূরে পৌঁছে গিয়েছে বলে ওই খবরে দাবি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

কাবুলের পতনের পরেও সালেহ্‌ জানিয়েছিলেন, তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বুধবার মধ্য-উত্তরাংশের পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকার-সহ বেশ কিছু এলাকা ছিনিয়ে নেয় তালেবান বিরোধী বাহিনী। বাগলান প্রদেশের তালেবান বিরোধী বাহিনীর কমান্ডার আব্দুল হামিদ শনিবার বলেছেন। ‘শীঘ্রই উত্তর আফগানিস্তানের আরও কিছু এলাকার দখন নেব আমরা।’’

ইতিমধ্যেই সালেহ্‌র সঙ্গে পঞ্জশির প্রদেশের প্রভাবশালী তাজিক নেতা আহমেদ মাসুদ হাত মিলিয়েছেন। পঞ্জশির এলাকার মাসুদের অনুগত যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আর এক প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের ‘যুদ্ধপতি’ (ওয়ারলর্ড) আব্দুল রশিদ দোস্তমও রয়েছেন এই জোটে। ওই উজবেক নেতার বড় ছেলে ইয়ার মহম্মদ দোস্তাম প্রায় ৮ হাজার নিয়ে তালিবান বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন বলে খবর।

পারওয়ান এবং বাগলান প্রদেশ দখলে এলে উত্তর আফগানিস্তানের বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরিফে অবস্থানরত তালিব বাহিনীর সঙ্গে রাজধানী কাবুলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।