বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোগন্তিতে যাত্রীরা, খুলনায় এবার লঞ্চও বন্ধ

খুলনায় চলছে দু’দিনের বাস ধর্মঘট। এবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। ফলে ভোগন্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১০ দফা দাবিতে তারা যাত্রীবাহী লঞ্চে ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘট শুরু করেছেন। এর ফলে ২টি রুটে ৬টি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর আগে মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধ করার দাবিতে খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডাকে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, শনিবার খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে।

তবে বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশে বাস বন্ধ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তারা মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট করছেন। তাছাড়া সমাবেশকে ঘিরে বাস ভাঙচুর হতে পারে বলেও আশংকা আছে।

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ভোর থেকে অনেক যাত্রী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ছোটখাটো অন্য যানবাহনে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসে খুলনায় আসতে পারছেন না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভোগন্তিতে যাত্রীরা, খুলনায় এবার লঞ্চও বন্ধ

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

খুলনায় চলছে দু’দিনের বাস ধর্মঘট। এবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। ফলে ভোগন্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১০ দফা দাবিতে তারা যাত্রীবাহী লঞ্চে ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘট শুরু করেছেন। এর ফলে ২টি রুটে ৬টি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর আগে মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধ করার দাবিতে খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডাকে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, শনিবার খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে।

তবে বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশে বাস বন্ধ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তারা মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট করছেন। তাছাড়া সমাবেশকে ঘিরে বাস ভাঙচুর হতে পারে বলেও আশংকা আছে।

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ভোর থেকে অনেক যাত্রী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ছোটখাটো অন্য যানবাহনে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসে খুলনায় আসতে পারছেন না।