বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ৬ সেপ্টেম্বর

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ার চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান এই দিন ধার্য করেন।
সোমবার (২৩ আগস্ট) আদালত সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে আদালতের সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এতদিন সাক্ষ্য হয়নি। আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাঁদের সহযোগিতা করেছেন।
একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ৬ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত সময় : ০১:২৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ার চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান এই দিন ধার্য করেন।
সোমবার (২৩ আগস্ট) আদালত সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে আদালতের সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এতদিন সাক্ষ্য হয়নি। আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাঁদের সহযোগিতা করেছেন।
একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।