বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মারা গেলেন ‘বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা ব্যক্তি’

তরুণ বয়সে কিছু একটা নিয়ে কষ্ট পেয়েছিলেন। সেই কষ্ট থেকে ৬০ বছর গোসল করেননি আমু হাজি নামে ইরানের এক ব্যক্তি। তিনি সন্ন্যাসী গোছের মানুষ ছিলেন। তার গোসল না করার ঘটনা ২০১৪ সালে জানাজানি হয়। এরপর তাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা মানুষের’ তকমা দেওয়া হয়েছিল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ জানিয়েছে, ৬০ বছর গোসল না করা সেই ব্যক্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪। কয়েক মাস আগে কয়েকজন মিলে তাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন। এর কয়েক মাস পরেই মৃত্যুবরণ করলেন তিনি।

ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, আমু হাজি একটি খুপরি ঘরে বসবাস করতেন এবং তরুণ বয়সে কিছু একটা নিয়ে কষ্ট পেয়েছিলেন এরপর গোসল করা বন্ধ করে দেন। তার ধারণা ছিল গোসল করলে তিনি অসুস্থ হয়ে যাবেন 

ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস ২০১৪ সালে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, আমু হাজি সাধারণত তার গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কে দুর্ঘটনায় যেসব প্রাণী মারা যেত সেগুলোর মাংস খেয়েই জীবন ধারণ করতেন। পশুপাখির মল দিয়ে তৈরি এক ধরণের পাইপ সেবন করতেন তিনি। সে সময় তোলা বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, আমু হাজি একই সময়ে একাধিক সিগারেট খেতেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মারা গেলেন ‘বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা ব্যক্তি’

প্রকাশিত সময় : ০৯:৫৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

তরুণ বয়সে কিছু একটা নিয়ে কষ্ট পেয়েছিলেন। সেই কষ্ট থেকে ৬০ বছর গোসল করেননি আমু হাজি নামে ইরানের এক ব্যক্তি। তিনি সন্ন্যাসী গোছের মানুষ ছিলেন। তার গোসল না করার ঘটনা ২০১৪ সালে জানাজানি হয়। এরপর তাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা মানুষের’ তকমা দেওয়া হয়েছিল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ জানিয়েছে, ৬০ বছর গোসল না করা সেই ব্যক্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪। কয়েক মাস আগে কয়েকজন মিলে তাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন। এর কয়েক মাস পরেই মৃত্যুবরণ করলেন তিনি।

ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, আমু হাজি একটি খুপরি ঘরে বসবাস করতেন এবং তরুণ বয়সে কিছু একটা নিয়ে কষ্ট পেয়েছিলেন এরপর গোসল করা বন্ধ করে দেন। তার ধারণা ছিল গোসল করলে তিনি অসুস্থ হয়ে যাবেন 

ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস ২০১৪ সালে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, আমু হাজি সাধারণত তার গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কে দুর্ঘটনায় যেসব প্রাণী মারা যেত সেগুলোর মাংস খেয়েই জীবন ধারণ করতেন। পশুপাখির মল দিয়ে তৈরি এক ধরণের পাইপ সেবন করতেন তিনি। সে সময় তোলা বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, আমু হাজি একই সময়ে একাধিক সিগারেট খেতেন।