সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্দুক, রিভলবার, লাঠি ভেঙে চুরমার করবে মানুষ: ফখরুল

শনিবার রংপুরে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের সবার লক্ষ্য এক, দাবিও এক-এই সরকারের পদত্যাগ।

দেশে সব বিভাগে ধারাবাহিক গণসমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত দলের রংপুর বিভাগীয় চতুর্থ গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।

তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৫ বছর থেকে আমাদের অনেক দমন, নির্যাতন ও অত্যাচার চালিয়ে সর্বনাশ করেছেন। সমস্ত দেশটাকে পুড়ে পুড়ে খেয়েছেন। চিবিয়ে চিবিয়ে অর্থনীতি খেয়েছেন, এখন বাংলাদেশ খাওয়ার পাঁয়তারা করছেন।

বিএনপির সমাবেশ চলাকালে বিভিন্ন দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন মালিক ও শ্রমিকরা। তবে বিএনপির দাবি সরকারের ষড়যন্ত্রে এ ধর্মঘট।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। যদি ভয়ই না পান, তাহলে দুই দিন আগে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দিলেন কেন।

শনিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল।

‘জঙ্গিবাদের উত্থান ও আগুন সন্ত্রাসের রক্ষা নেই’ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন একটি বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এটা আর একটা চক্রান্ত। কিন্তু দেশের মানুষ আর সেটা বরদাশত করবে না। বন্দুক, রিভলবার, লাঠি যাই আসুক সব ভেঙে চুরমার করে দেবে এ দেশের মানুষ। আজকে জেগে ওঠার সময় এসেছে। এ দেশের মানুষ জেগে উঠবে। এ দেশের মানুষ আর একবার যুদ্ধ করবে। আর একবার দেশ স্বাধীন হবে’।

দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। বর্তমানে সেই আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে দেশ।

তিনি আরো বলেন, সমস্ত নষ্ট করে দিয়েছেন, চুরি করে রাস্তা, ব্রিজ করেছেন। গরিব মানুষের ঘর তুলে দিয়েছেন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প করে সেখানেও চুরি করেছেন। সব খেয়ে ফেলেছেন, কিছু বাকি রাখেন নাই। ১০ টাকা কেজির চাল খাওয়াতে চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। শাক-সবজিও মানুষ কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষণ।

পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকরা রংপুরে আসেন। তারা বস্তা, কম্বল দিয়ে, তাঁবু টানিয়ে রাত যাপন করেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে ‘স্যালুট’ জানিয়ে মির্জা ফখরুল মিল আরো বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এ সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। খুলনা, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের খুন করেছেন। এ ছাড়া আমাদের ছয় শ নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার  করা হয়েছে। এদের আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম কেন? হাসিনার এই বাংলাদেশ দেখার জন্য? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটি স্বাধীন-সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ও ভোট দিয়ে প্রতিনিধির নির্বাচিত করতে পারব সে জন্য। এখন কি আমরা ভোট দিতে পারি? আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে। এর আগে ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে আর ’১৮ সালে তো দিনের ভোট রাতে হয়েছে। আমরা সেই ধরনের নির্বাচন বাংলাদেশে আর হতে দেব না।

সমাবেশে নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। মানুষ দু’বেলা খেতে পারছে না। গ্যাসের অভাবে দিন দিন উৎপাদন ব্যাহত যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভবিষ্যতে দুর্ভিক্ষ দেখতে পাচ্ছেন। একটা পরিষ্কার কথা বলি, আপনাকে দুর্ভিক্ষ আসার আগেই আমরা বিদায় করে দেব।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, সম্পদ লুট করে পাচার করেছেন, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছেন। গণতন্ত্রের মাকে বন্দী করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, নাটক বন্ধ করেন। কাদের, নাটক বন্ধ করেন। ছোটবেলায় সার্কাস দেখতাম। সেখানে জোকার থাকত। রং-বেরঙের পোশাক পড়ত। জোকারি বাদ দেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার গদি তছনছ হয়ে গেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা দিন-রাত কষ্ট করে এই সমাবেশ সফল করেছে।

দুপুর ২টায় বিভাগীয় এ গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় শুরু হওয়া সমাবেশে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম বাবুল ও জাহিদুর রহমান জাহিদসহ প্রমুখ। এ ছাড়া রংপুর বিভাগের আট জেলার বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকরাও বক্তব্য রাখেন।-দেশ রূপান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বন্দুক, রিভলবার, লাঠি ভেঙে চুরমার করবে মানুষ: ফখরুল

প্রকাশিত সময় : ১১:১৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

শনিবার রংপুরে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের সবার লক্ষ্য এক, দাবিও এক-এই সরকারের পদত্যাগ।

দেশে সব বিভাগে ধারাবাহিক গণসমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত দলের রংপুর বিভাগীয় চতুর্থ গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।

তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৫ বছর থেকে আমাদের অনেক দমন, নির্যাতন ও অত্যাচার চালিয়ে সর্বনাশ করেছেন। সমস্ত দেশটাকে পুড়ে পুড়ে খেয়েছেন। চিবিয়ে চিবিয়ে অর্থনীতি খেয়েছেন, এখন বাংলাদেশ খাওয়ার পাঁয়তারা করছেন।

বিএনপির সমাবেশ চলাকালে বিভিন্ন দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন মালিক ও শ্রমিকরা। তবে বিএনপির দাবি সরকারের ষড়যন্ত্রে এ ধর্মঘট।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। যদি ভয়ই না পান, তাহলে দুই দিন আগে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দিলেন কেন।

শনিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল।

‘জঙ্গিবাদের উত্থান ও আগুন সন্ত্রাসের রক্ষা নেই’ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন একটি বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এটা আর একটা চক্রান্ত। কিন্তু দেশের মানুষ আর সেটা বরদাশত করবে না। বন্দুক, রিভলবার, লাঠি যাই আসুক সব ভেঙে চুরমার করে দেবে এ দেশের মানুষ। আজকে জেগে ওঠার সময় এসেছে। এ দেশের মানুষ জেগে উঠবে। এ দেশের মানুষ আর একবার যুদ্ধ করবে। আর একবার দেশ স্বাধীন হবে’।

দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। বর্তমানে সেই আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে দেশ।

তিনি আরো বলেন, সমস্ত নষ্ট করে দিয়েছেন, চুরি করে রাস্তা, ব্রিজ করেছেন। গরিব মানুষের ঘর তুলে দিয়েছেন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প করে সেখানেও চুরি করেছেন। সব খেয়ে ফেলেছেন, কিছু বাকি রাখেন নাই। ১০ টাকা কেজির চাল খাওয়াতে চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। শাক-সবজিও মানুষ কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষণ।

পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকরা রংপুরে আসেন। তারা বস্তা, কম্বল দিয়ে, তাঁবু টানিয়ে রাত যাপন করেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে ‘স্যালুট’ জানিয়ে মির্জা ফখরুল মিল আরো বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এ সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। খুলনা, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের খুন করেছেন। এ ছাড়া আমাদের ছয় শ নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার  করা হয়েছে। এদের আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম কেন? হাসিনার এই বাংলাদেশ দেখার জন্য? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটি স্বাধীন-সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ও ভোট দিয়ে প্রতিনিধির নির্বাচিত করতে পারব সে জন্য। এখন কি আমরা ভোট দিতে পারি? আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে। এর আগে ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে আর ’১৮ সালে তো দিনের ভোট রাতে হয়েছে। আমরা সেই ধরনের নির্বাচন বাংলাদেশে আর হতে দেব না।

সমাবেশে নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। মানুষ দু’বেলা খেতে পারছে না। গ্যাসের অভাবে দিন দিন উৎপাদন ব্যাহত যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভবিষ্যতে দুর্ভিক্ষ দেখতে পাচ্ছেন। একটা পরিষ্কার কথা বলি, আপনাকে দুর্ভিক্ষ আসার আগেই আমরা বিদায় করে দেব।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, সম্পদ লুট করে পাচার করেছেন, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছেন। গণতন্ত্রের মাকে বন্দী করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, নাটক বন্ধ করেন। কাদের, নাটক বন্ধ করেন। ছোটবেলায় সার্কাস দেখতাম। সেখানে জোকার থাকত। রং-বেরঙের পোশাক পড়ত। জোকারি বাদ দেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার গদি তছনছ হয়ে গেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা দিন-রাত কষ্ট করে এই সমাবেশ সফল করেছে।

দুপুর ২টায় বিভাগীয় এ গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় শুরু হওয়া সমাবেশে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম বাবুল ও জাহিদুর রহমান জাহিদসহ প্রমুখ। এ ছাড়া রংপুর বিভাগের আট জেলার বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকরাও বক্তব্য রাখেন।-দেশ রূপান্তর