বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উইগুরে মানবাধিকার লঙ্ঘন: ৫০ দেশের উদ্বেগ

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৫০টি দেশ।

উইগুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিবৃতিতে সই করা দেশগুলো একে ‘ক্রাইম এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ বা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে শিরোনাম করেছে এবং চীনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে।

javascript:false

পশ্চিমা অধিকাংশ দেশ এই বিবৃতিতে সই করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলিম উইগুরদের বিরুদ্ধে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, তা উদ্বেগজনক।’ ৫০ দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল, তুরস্ক, গুয়াতেমালা এবং সোমালিয়াও রয়েছে।

এই সমালোচনাও মূলত প্রতীকী। কারণ, এর আগে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে উইগুর নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা ভোটাভুটিতে পাস হয়নি।

জাতিসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির মানবাধিকার কমিটিতে এই বিবৃতিটি পড়ে শোনান জাতিসঙ্ঘে কানাডার দূত।

৫০টি দেশের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন যেন জাতিসঙ্ঘের রিপোর্টের সুপারিশ মেনে নেয় এবং যাদের যথেচ্ছভাবে আটকে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তি দেয়।

বেইজিং অবশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত সপ্তাহে রিপোর্টের ফলোআপ করার জন্য জাতিসঙ্ঘে বিভিন্ন দেশের দূত, উইগুরকর্মী এবং জাতিসঙ্ঘের বিশেষ তদন্তকারীরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠক চীন বয়কট করে। তাদের অভিযোগ ছিল, এটা চীনবিরোধী একটা প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়।

চীন অবশ্য জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়ে বলেছে, ওই বৈঠক ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

উইগুরে মানবাধিকার লঙ্ঘন: ৫০ দেশের উদ্বেগ

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৫০টি দেশ।

উইগুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিবৃতিতে সই করা দেশগুলো একে ‘ক্রাইম এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ বা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে শিরোনাম করেছে এবং চীনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে।

javascript:false

পশ্চিমা অধিকাংশ দেশ এই বিবৃতিতে সই করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলিম উইগুরদের বিরুদ্ধে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, তা উদ্বেগজনক।’ ৫০ দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল, তুরস্ক, গুয়াতেমালা এবং সোমালিয়াও রয়েছে।

এই সমালোচনাও মূলত প্রতীকী। কারণ, এর আগে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে উইগুর নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা ভোটাভুটিতে পাস হয়নি।

জাতিসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির মানবাধিকার কমিটিতে এই বিবৃতিটি পড়ে শোনান জাতিসঙ্ঘে কানাডার দূত।

৫০টি দেশের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন যেন জাতিসঙ্ঘের রিপোর্টের সুপারিশ মেনে নেয় এবং যাদের যথেচ্ছভাবে আটকে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তি দেয়।

বেইজিং অবশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত সপ্তাহে রিপোর্টের ফলোআপ করার জন্য জাতিসঙ্ঘে বিভিন্ন দেশের দূত, উইগুরকর্মী এবং জাতিসঙ্ঘের বিশেষ তদন্তকারীরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠক চীন বয়কট করে। তাদের অভিযোগ ছিল, এটা চীনবিরোধী একটা প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়।

চীন অবশ্য জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়ে বলেছে, ওই বৈঠক ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে