সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবির দুই শিক্ষার্থীর কৌশলে ৩০টি পাখি উদ্ধার, ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার জরিমানা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থী ও বনবিভাগ মিলে পাখি কেনার নাম করে এক অসাধু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০টি পাখি উদ্ধার করেছে। সোমবার (০৭ নভেম্বর) নাটোরের আহম্মেদপুর থেকে এই পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় পাখি বিক্রেতা আনিছুর রহমানকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। পরে নাটোর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়ের হাবিব তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আনিছুর আহম্মেদপুর চর তেবাড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে। রাবি শিক্ষার্থী ও বন বিভাগ সূত্র জানায়, মিজান ও নাজমুল রাবি শাখা ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামের সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী। গোপন আনিছুরের কাছে পাখি আছে জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসেন পাখি কেনার কথা বলে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে নাজমুল ওই পাখি শিকারিকে দেখা করতে বললে তিনি রাজি হয় এবং তাকে ঠিকানা দিয়ে দেয়। সেই অনুসারে নাজমুল একটি মোটরসাইকেল যোগে দিয়ে বিক্রেতার অবস্থানে যায়। এসময় পেছন থেকে তাকে অনুসরণ করে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও ডিবি লোকজন। পরে শিকারি আনিছুর রহমান ঘটনাস্থলে এলে তাকে আটক করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত আনিছের সঙ্গে থাকা ৩০টি পাখি উদ্ধার করে। এবং তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাটোর শহরের আহম্মেদপুর চর তেবাড়িয়া এলাকায় ক্রেতা সেজে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দুটি কালিন, ১৪ টি পাতি সরালি, ১টি বাড়ি ময়না, ১টি টিয়া সহ দেশী ও অতিথি বিভিন্ন প্রজাতির ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়। পাখি বিক্রেতা আনিছুর রহমানকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়।

ডিপ ইক্যুলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের রাবি প্রতিনিধি মিজানুর রহমান তাসিব বলেন, পাখি আমাদের সম্পদ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য, আজকাল ক্যাম্পাসে পাখির আনাগোনা কমে যাচ্ছে। যার মূল কারণ পাখির আবাসস্থল ধীরে ধীরে নষ্ট হওয়া এবং পুকুর ও আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট করে মাছ চাষ করা। এসব ব্যাপারে প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সচেতন হতে হবে। তাহলেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার আগের মতো পাখির কলকাকলীতে ভরে উঠবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রাবির দুই শিক্ষার্থীর কৌশলে ৩০টি পাখি উদ্ধার, ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার জরিমানা

প্রকাশিত সময় : ০৮:৫৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থী ও বনবিভাগ মিলে পাখি কেনার নাম করে এক অসাধু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০টি পাখি উদ্ধার করেছে। সোমবার (০৭ নভেম্বর) নাটোরের আহম্মেদপুর থেকে এই পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় পাখি বিক্রেতা আনিছুর রহমানকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। পরে নাটোর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়ের হাবিব তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আনিছুর আহম্মেদপুর চর তেবাড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে। রাবি শিক্ষার্থী ও বন বিভাগ সূত্র জানায়, মিজান ও নাজমুল রাবি শাখা ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামের সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী। গোপন আনিছুরের কাছে পাখি আছে জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসেন পাখি কেনার কথা বলে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে নাজমুল ওই পাখি শিকারিকে দেখা করতে বললে তিনি রাজি হয় এবং তাকে ঠিকানা দিয়ে দেয়। সেই অনুসারে নাজমুল একটি মোটরসাইকেল যোগে দিয়ে বিক্রেতার অবস্থানে যায়। এসময় পেছন থেকে তাকে অনুসরণ করে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও ডিবি লোকজন। পরে শিকারি আনিছুর রহমান ঘটনাস্থলে এলে তাকে আটক করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত আনিছের সঙ্গে থাকা ৩০টি পাখি উদ্ধার করে। এবং তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাটোর শহরের আহম্মেদপুর চর তেবাড়িয়া এলাকায় ক্রেতা সেজে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দুটি কালিন, ১৪ টি পাতি সরালি, ১টি বাড়ি ময়না, ১টি টিয়া সহ দেশী ও অতিথি বিভিন্ন প্রজাতির ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়। পাখি বিক্রেতা আনিছুর রহমানকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়।

ডিপ ইক্যুলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের রাবি প্রতিনিধি মিজানুর রহমান তাসিব বলেন, পাখি আমাদের সম্পদ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য, আজকাল ক্যাম্পাসে পাখির আনাগোনা কমে যাচ্ছে। যার মূল কারণ পাখির আবাসস্থল ধীরে ধীরে নষ্ট হওয়া এবং পুকুর ও আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট করে মাছ চাষ করা। এসব ব্যাপারে প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সচেতন হতে হবে। তাহলেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার আগের মতো পাখির কলকাকলীতে ভরে উঠবে।