রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগমারায়  বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর         বিরুদ্ধে পুলিশের নাশকতার মামলা দায়ের

রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপির দুইশতাধিক নেতাকর্মী বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করেছে বাগমারা থানার পুলিশ।

মামলা দায়েরের পর থেকেই উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন গুলোর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির দাবি আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে লোক সমাগম ঘটাতে না পারে সেই জন্য পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা চেষ্টা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপি ও সহযোগী সংগগঠনের নেতাকর্মীরা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র হট্টগোল সৃষ্টি করার কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের তারিখ নির্ধারন করেছেন। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজশাহী অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ এড়ানোর জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগমারা থানার পুলিশ জানতে পারে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিত্বে বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল মারতে শুরু করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পুলিশ পিছু হটে। কিছুক্ষন পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে ৬টি তাজা ককটেল, বাঁশের লাঠি ও কয়েক পিচ পানির বোতল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ওই ঘটনায় রাতেই বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান বল্টুকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে দুইশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ঘটনায় বাগমারা উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন গুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ঘটনাটি জানার জন্য জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি ধরেননি।

অপরদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশকে ভুন্ডল করার জন্য ক্ষমতাসীন দলের লোকদের কথা মত পুলিশ কাজ করছে। তিনি বাগমারায় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা ও হয়রানী মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম তার ব্যবহৃত ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তৌহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বাগমারায়  বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর         বিরুদ্ধে পুলিশের নাশকতার মামলা দায়ের

প্রকাশিত সময় : ০২:১২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপির দুইশতাধিক নেতাকর্মী বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করেছে বাগমারা থানার পুলিশ।

মামলা দায়েরের পর থেকেই উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন গুলোর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির দাবি আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে লোক সমাগম ঘটাতে না পারে সেই জন্য পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা চেষ্টা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপি ও সহযোগী সংগগঠনের নেতাকর্মীরা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র হট্টগোল সৃষ্টি করার কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের তারিখ নির্ধারন করেছেন। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজশাহী অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ এড়ানোর জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগমারা থানার পুলিশ জানতে পারে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিত্বে বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল মারতে শুরু করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পুলিশ পিছু হটে। কিছুক্ষন পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে ৬টি তাজা ককটেল, বাঁশের লাঠি ও কয়েক পিচ পানির বোতল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ওই ঘটনায় রাতেই বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান বল্টুকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে দুইশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ঘটনায় বাগমারা উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন গুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ঘটনাটি জানার জন্য জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি ধরেননি।

অপরদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশকে ভুন্ডল করার জন্য ক্ষমতাসীন দলের লোকদের কথা মত পুলিশ কাজ করছে। তিনি বাগমারায় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা ও হয়রানী মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম তার ব্যবহৃত ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তৌহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছেন।