রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশিমপুর কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর)  সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে গিয়ে আরবি চেকপোষ্টের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আজকে সেখানে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কারাগার এলাকায় নজরদারি রাখছেন। কাশিমপুর কারাগারের আরপি চেকপোস্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীরা জানান, দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশের সময় দর্শনার্থীদের ব্যাপক তল্লাশি করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের নাম ঠিকানা ও লিপিবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। 

পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সোয়া ৬টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাত সদস্যকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় শুনানির জন্য তাদের আদালতে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ছিলেন। 

মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাতের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে। আর মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার -২ এর ডেপুটি জেল সুপার আলি আফজাল জানান, ‘আমাদের কারাগারে সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তবে স্বাভাবিক সময়ে চেক পোস্টে পাঁচ-ছয় জন দায়িত্বে থাকলেও এখন ১০ জন নিয়োজিত করা হয়েছে। কারাগারে আসামি পাঠানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।’-রাইজিংবিডি.কম

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কাশিমপুর কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত সময় : ০২:৫০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর)  সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে গিয়ে আরবি চেকপোষ্টের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আজকে সেখানে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কারাগার এলাকায় নজরদারি রাখছেন। কাশিমপুর কারাগারের আরপি চেকপোস্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীরা জানান, দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশের সময় দর্শনার্থীদের ব্যাপক তল্লাশি করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের নাম ঠিকানা ও লিপিবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। 

পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সোয়া ৬টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাত সদস্যকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় শুনানির জন্য তাদের আদালতে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ছিলেন। 

মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাতের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে। আর মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার -২ এর ডেপুটি জেল সুপার আলি আফজাল জানান, ‘আমাদের কারাগারে সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তবে স্বাভাবিক সময়ে চেক পোস্টে পাঁচ-ছয় জন দায়িত্বে থাকলেও এখন ১০ জন নিয়োজিত করা হয়েছে। কারাগারে আসামি পাঠানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।’-রাইজিংবিডি.কম