বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টের ৬ বছরের কারাদণ্ড

দুর্নীতির দায়ে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনারকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। গতকাল মঙ্গলবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে তিনিই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কারাদণ্ড পাওয়া প্রথম কোনো ভাইস প্রেসিডেন্ট।

ছয় বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ক্রিস্টিনাকে আজীবনের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান রায়ের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও কংগ্রেশনাল দায়মুক্তির কারণে ৬৯ বছর বয়সী ক্রিস্টিনাকে কারাগারে যেতে হবে না। দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এ সুবিধা পাবেন তিনি।

ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিজের শক্তিশালী ঘাঁটি পাতাগোনিয়া অঞ্চলে সরকারি কাজ প্রদানে অনিয়ম করেছেন তিনি। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে নিজের বন্ধুকে সরকারি নির্মাণ কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রসিকিউটররা তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় মঙ্গলবার তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও কারাদণ্ডকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলে দাবি করেছেন ক্রিস্টিনা। তার দাবি, ‘বিচারবিভাগীয় মাফিয়ার’ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথাও জানিয়েছেন এই রাজনীতিক।

দুই দশক ধরে আর্জেন্টিনার রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছেন ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনার। একই সঙ্গে তিনি জনগণের ভালোবাসা ও ঘৃণার মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি এই বিচারকে পূর্ব সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এটি একটি রাজনৈতিক দস্যু খোঁজা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টের ৬ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

দুর্নীতির দায়ে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনারকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। গতকাল মঙ্গলবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে তিনিই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কারাদণ্ড পাওয়া প্রথম কোনো ভাইস প্রেসিডেন্ট।

ছয় বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ক্রিস্টিনাকে আজীবনের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান রায়ের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও কংগ্রেশনাল দায়মুক্তির কারণে ৬৯ বছর বয়সী ক্রিস্টিনাকে কারাগারে যেতে হবে না। দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এ সুবিধা পাবেন তিনি।

ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিজের শক্তিশালী ঘাঁটি পাতাগোনিয়া অঞ্চলে সরকারি কাজ প্রদানে অনিয়ম করেছেন তিনি। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে নিজের বন্ধুকে সরকারি নির্মাণ কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রসিকিউটররা তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় মঙ্গলবার তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও কারাদণ্ডকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলে দাবি করেছেন ক্রিস্টিনা। তার দাবি, ‘বিচারবিভাগীয় মাফিয়ার’ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথাও জানিয়েছেন এই রাজনীতিক।

দুই দশক ধরে আর্জেন্টিনার রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছেন ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনার। একই সঙ্গে তিনি জনগণের ভালোবাসা ও ঘৃণার মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি এই বিচারকে পূর্ব সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এটি একটি রাজনৈতিক দস্যু খোঁজা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।