সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জঙ্গি সংগঠনে অর্থায়ন জামায়াত আমিরের, প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান অর্থায়ন করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘৭১ -এর পরাজিত শক্তিরা বিভিন্ন সময় ভিন্ন ফরমেটে জঙ্গিবাদ বিস্তারের চেষ্টা করেছে। তারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেছে। আমরা দেখেছি, এই দেশে ২০১২-১৩ সালে, ২০১৫-১৬ ও ২০০৫-৬ সালে জঙ্গিবাদ উত্থানের চেষ্টা করা হয়।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যান। তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেন। কিন্তু বাবা জামায়াতের আমির জেনে-শুনে বিষয়টি সমর্থন ও তাকে অর্থায়ন করেন। তার অর্থ সাহায্যেই ছেলে অন্যদের সংগঠিত করছিল। এই অর্থায়নের কারণে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার সমর্থনেই ছেলে ডাক্তার রাফাত নতুন ওই জঙ্গি সংগঠনে জড়ান।’

এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘জামায়াতের আমিরের প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকজন নতুন জঙ্গি সংগঠনে প্রশিক্ষণও নিয়েছে। আমরা অতীতেও দেখেছি এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে সমর্থন করেনি, ভবিষষ্যতেও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করবে না। অতীতেও আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদ দমন করে নিয়ন্ত্রণ করেছি। বিজয়ের মাসে বলতে চাই, আগামীতেও এই দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই দেশে কোনোভাবে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না।’

জঙ্গিবাদে জামায়াতের অন্য কোনো নেতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, আমাদের অভিযান চলছে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এখনই সেসব তথ্য প্রকাশ করছি না। অভিযান সফল হওয়ার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।’

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয় জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমরা পাচ্ছি। ঘটনার সময় যেসব পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ছিল, সেখানে যাদের গাফিলতি ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশসহ অন্যদের করণীয় বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হবে।’

পলাতক দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নজরদারিতে শুধু সেই দুজনই না, জঙ্গি ছিনতাইয়ে যারা জড়িত রয়েছে তাদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি তাড়াতাড়িই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

জঙ্গি সংগঠনে অর্থায়ন জামায়াত আমিরের, প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত সময় : ০৭:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান অর্থায়ন করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘৭১ -এর পরাজিত শক্তিরা বিভিন্ন সময় ভিন্ন ফরমেটে জঙ্গিবাদ বিস্তারের চেষ্টা করেছে। তারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেছে। আমরা দেখেছি, এই দেশে ২০১২-১৩ সালে, ২০১৫-১৬ ও ২০০৫-৬ সালে জঙ্গিবাদ উত্থানের চেষ্টা করা হয়।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যান। তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেন। কিন্তু বাবা জামায়াতের আমির জেনে-শুনে বিষয়টি সমর্থন ও তাকে অর্থায়ন করেন। তার অর্থ সাহায্যেই ছেলে অন্যদের সংগঠিত করছিল। এই অর্থায়নের কারণে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার সমর্থনেই ছেলে ডাক্তার রাফাত নতুন ওই জঙ্গি সংগঠনে জড়ান।’

এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘জামায়াতের আমিরের প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকজন নতুন জঙ্গি সংগঠনে প্রশিক্ষণও নিয়েছে। আমরা অতীতেও দেখেছি এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে সমর্থন করেনি, ভবিষষ্যতেও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করবে না। অতীতেও আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদ দমন করে নিয়ন্ত্রণ করেছি। বিজয়ের মাসে বলতে চাই, আগামীতেও এই দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই দেশে কোনোভাবে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না।’

জঙ্গিবাদে জামায়াতের অন্য কোনো নেতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, আমাদের অভিযান চলছে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এখনই সেসব তথ্য প্রকাশ করছি না। অভিযান সফল হওয়ার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।’

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয় জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমরা পাচ্ছি। ঘটনার সময় যেসব পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ছিল, সেখানে যাদের গাফিলতি ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশসহ অন্যদের করণীয় বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হবে।’

পলাতক দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নজরদারিতে শুধু সেই দুজনই না, জঙ্গি ছিনতাইয়ে যারা জড়িত রয়েছে তাদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি তাড়াতাড়িই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’