রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

র‍্যাবের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিলো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

বগুড়ায় র‌্যাবের হাত থেকে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুর রউফকে ছিনিয়ে নিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শহরের সাতমাথা চত্বরের মুজিব মঞ্চের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ওই বহিষ্কৃত নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মুবিন খান। আব্দুর রউফ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বছরের ১১ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। ওই হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগ থেকে রউফকে বহিষ্কার করা হয়। জানা যায়, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত ৭ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি-পাল্টা কর্মসূচি পালন হচ্ছিলো। সম্প্রতি ছাত্রলীগ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, দরজা ভাঙা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য সাতমাথা চত্বরে মুজিব মঞ্চের সামনে জড়ো হন নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা। ওই মিছিলে অংশ নিতে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফ সেখানে উপস্থিত হন। এদিকে মিছিল শেষে তারা পুনরায় মুজিব মঞ্চের সামনে জড়ো হন। এ সময় র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মুবিন খানের নেতৃত্বে র‍্যাব সদস্যরা রউফকে আটক করেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা র‍্যাবের হাত থেকে রউফকে ছিনিয়ে নেয়। পরে স্লোগান দিতে দিতে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় জানান, মিছিলকে কেন্দ্র করে সাতমাথা এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা ছিলেন। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রউফকে সরিয়ে নেওয়া হয়৷ র‍্যাবের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি। র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মুবিন খান জানান, অন্য একজনকে ভেবে তাকে ডেকে নাম-পরিচয় জানার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে আটক করা হয়নি। আমরা কথা বলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে টানাটানি করছিল ৷

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

র‍্যাবের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিলো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত সময় : ০৩:১১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

বগুড়ায় র‌্যাবের হাত থেকে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুর রউফকে ছিনিয়ে নিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শহরের সাতমাথা চত্বরের মুজিব মঞ্চের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ওই বহিষ্কৃত নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মুবিন খান। আব্দুর রউফ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বছরের ১১ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। ওই হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগ থেকে রউফকে বহিষ্কার করা হয়। জানা যায়, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত ৭ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি-পাল্টা কর্মসূচি পালন হচ্ছিলো। সম্প্রতি ছাত্রলীগ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, দরজা ভাঙা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য সাতমাথা চত্বরে মুজিব মঞ্চের সামনে জড়ো হন নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা। ওই মিছিলে অংশ নিতে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফ সেখানে উপস্থিত হন। এদিকে মিছিল শেষে তারা পুনরায় মুজিব মঞ্চের সামনে জড়ো হন। এ সময় র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মুবিন খানের নেতৃত্বে র‍্যাব সদস্যরা রউফকে আটক করেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা র‍্যাবের হাত থেকে রউফকে ছিনিয়ে নেয়। পরে স্লোগান দিতে দিতে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় জানান, মিছিলকে কেন্দ্র করে সাতমাথা এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা ছিলেন। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রউফকে সরিয়ে নেওয়া হয়৷ র‍্যাবের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি। র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মুবিন খান জানান, অন্য একজনকে ভেবে তাকে ডেকে নাম-পরিচয় জানার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে আটক করা হয়নি। আমরা কথা বলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে টানাটানি করছিল ৷