মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের প্রথম যুদ্ধবিমান চালক হচ্ছেন মুসলিম নারী

ভারতের প্রথম মুসলিম নারী যুদ্ধবিমান চালক হতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা। প্রথম মুসলমান নারী হিসেবে যুদ্ধবিমান চালকের ছাড়পত্র পেয়ে এরই মধ্যে তিনি ইতিহাসের পাতায়। বিমানচালক সানিয়ার জন্য আকাশই সব কিছু। টেলিভিশন মেকানিক শহিদ আলির কন্যা সানিয়া ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির (এনডিএ) পরীক্ষায় সামগ্রিকভাবে ১৪৯তম স্থান পেয়েছেন। এনডিএর চলতি বছরের পরীক্ষায় পুরুষ ও নারী মিলিয়ে মোট ৪০০ আসন ছিল। যেখানে নারীদের জন্য ১৯টি আসন ছিল এবং যুদ্ধবিমানের পাইলটদের জন্য ছিল মাত্র দুটি আসন। সানিয়া নিজের যোগ্যতায় এর একটিতে জায়গা করে নিয়েছেন। এই সাফল্যে খুশি তার বাবা-মা এবং স্কুলের শিক্ষিকারাও। ভারতের দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার নামের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া। স্থানীয় পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজ থেকে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি মির্জাপুর শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে ভর্তি হন। উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন সানিয়া। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সানিয়া এনডিএ পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং ১৪৯তম র‌্যাংক লাভ করেন। সানিয়া বলেছেন, নারী যুদ্ধবিমান চালকদের জন্য মাত্র দুটি আসন সংরক্ষিত ছিল। প্রথমবারের চেষ্টায় আমি আসন দখল করতে ব্যর্থ হই। তবে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আমি সেই যোগ্যতা অর্জন করেছি। ইংরেজিতে ভালো কথা বললেই যে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বেশি কদর পাওয়া যায়, এই ধারণা ভুল। আগামী ২৭ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার এনডিএ একাডেমিতে যোগ দেবেন সানিয়া। সব কিছু ঠিক থাকলে সানিয়াই হবেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) প্রথম মুসলমান যুদ্ধবিমান চালক। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা সানিয়া জানিয়েছেন, যুদ্ধবিমানের চালক হওয়ার জন্য তার অনুপ্রেরণা ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী। তাকে দেখেই সানিয়ার যুদ্ধবিমান চালক হওয়ার স্বপ্ন জাগে। সানিয়া বলেন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছেন এবং তাকে দেখে আমি এনডিএতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আশা করি আমি একদিন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারব। দুই সঙ্গী মোহনা সিং এবং ভাবনা কান্থের পাশাপাশি অবনী চতুর্বেদীকে ভারতের প্রথম নারী যুদ্ধবিমান চালক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। মেয়ের সাফল্যে সানিয়ার মা তাবাসসুম মির্জা বলেন, মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামের গর্ব। সে প্রথম মুসলিম নারী ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। ও গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্নপূরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

ভারতের প্রথম যুদ্ধবিমান চালক হচ্ছেন মুসলিম নারী

প্রকাশিত সময় : ১১:১৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

ভারতের প্রথম মুসলিম নারী যুদ্ধবিমান চালক হতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা। প্রথম মুসলমান নারী হিসেবে যুদ্ধবিমান চালকের ছাড়পত্র পেয়ে এরই মধ্যে তিনি ইতিহাসের পাতায়। বিমানচালক সানিয়ার জন্য আকাশই সব কিছু। টেলিভিশন মেকানিক শহিদ আলির কন্যা সানিয়া ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির (এনডিএ) পরীক্ষায় সামগ্রিকভাবে ১৪৯তম স্থান পেয়েছেন। এনডিএর চলতি বছরের পরীক্ষায় পুরুষ ও নারী মিলিয়ে মোট ৪০০ আসন ছিল। যেখানে নারীদের জন্য ১৯টি আসন ছিল এবং যুদ্ধবিমানের পাইলটদের জন্য ছিল মাত্র দুটি আসন। সানিয়া নিজের যোগ্যতায় এর একটিতে জায়গা করে নিয়েছেন। এই সাফল্যে খুশি তার বাবা-মা এবং স্কুলের শিক্ষিকারাও। ভারতের দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার নামের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া। স্থানীয় পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজ থেকে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি মির্জাপুর শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে ভর্তি হন। উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন সানিয়া। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সানিয়া এনডিএ পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং ১৪৯তম র‌্যাংক লাভ করেন। সানিয়া বলেছেন, নারী যুদ্ধবিমান চালকদের জন্য মাত্র দুটি আসন সংরক্ষিত ছিল। প্রথমবারের চেষ্টায় আমি আসন দখল করতে ব্যর্থ হই। তবে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আমি সেই যোগ্যতা অর্জন করেছি। ইংরেজিতে ভালো কথা বললেই যে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বেশি কদর পাওয়া যায়, এই ধারণা ভুল। আগামী ২৭ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার এনডিএ একাডেমিতে যোগ দেবেন সানিয়া। সব কিছু ঠিক থাকলে সানিয়াই হবেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) প্রথম মুসলমান যুদ্ধবিমান চালক। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা সানিয়া জানিয়েছেন, যুদ্ধবিমানের চালক হওয়ার জন্য তার অনুপ্রেরণা ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী। তাকে দেখেই সানিয়ার যুদ্ধবিমান চালক হওয়ার স্বপ্ন জাগে। সানিয়া বলেন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছেন এবং তাকে দেখে আমি এনডিএতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আশা করি আমি একদিন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারব। দুই সঙ্গী মোহনা সিং এবং ভাবনা কান্থের পাশাপাশি অবনী চতুর্বেদীকে ভারতের প্রথম নারী যুদ্ধবিমান চালক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। মেয়ের সাফল্যে সানিয়ার মা তাবাসসুম মির্জা বলেন, মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামের গর্ব। সে প্রথম মুসলিম নারী ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। ও গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্নপূরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ