মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত 

১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। যেসব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটছে সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গানসু প্রদেশ। এই প্রদেশের ৯১ শতাংশ বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনানের ৮৪ শতাংশ এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা কিংহাইয়ের ৮০ শতাংশ বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের শীর্ষস্থানীয় মহামারি বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নতুন চন্দ্রবর্ষে চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সাবেক প্রধান জেং গুয়াং জানিয়েছেন, সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থা দুই থেকে তিন মাস থাকতে পারে। গত সপ্তাহে চীনে শুরু হয়েছে নতুন চন্দ্রবর্ষ। দেশটির সবচেয়ে বড় উৎসবের এই সময়টিতে লাখ লাখ চীনা অভিবাসী শ্রমিক নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায় স্বজনদের সঙ্গে উদযাপনের জন্য। ধারণা করা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক মানুষের এই স্থানান্তরের কারণে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেবে। গত মাসে করোনার শূন্য নীতি থেকে সরে আসার পর আক্রান্তের দৈনিক পরিসংখ্যান প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছে চীনা সরকার। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দেশের হাসপাতালগুলো করোনার রোগী দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত 

প্রকাশিত সময় : ১০:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। যেসব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটছে সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গানসু প্রদেশ। এই প্রদেশের ৯১ শতাংশ বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনানের ৮৪ শতাংশ এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা কিংহাইয়ের ৮০ শতাংশ বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের শীর্ষস্থানীয় মহামারি বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নতুন চন্দ্রবর্ষে চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের সাবেক প্রধান জেং গুয়াং জানিয়েছেন, সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থা দুই থেকে তিন মাস থাকতে পারে। গত সপ্তাহে চীনে শুরু হয়েছে নতুন চন্দ্রবর্ষ। দেশটির সবচেয়ে বড় উৎসবের এই সময়টিতে লাখ লাখ চীনা অভিবাসী শ্রমিক নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায় স্বজনদের সঙ্গে উদযাপনের জন্য। ধারণা করা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক মানুষের এই স্থানান্তরের কারণে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেবে। গত মাসে করোনার শূন্য নীতি থেকে সরে আসার পর আক্রান্তের দৈনিক পরিসংখ্যান প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছে চীনা সরকার। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দেশের হাসপাতালগুলো করোনার রোগী দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে।