বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরের তাপমাত্রা নামলো ৭ ডিগ্রিতে

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহের কবলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষ। ভোর থেকে উত্তরে হিমেল বাতাস আর কুয়াশার কারণে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।

শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এতে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীর গতিতে। এদিকে তীব্র শীতে ইরি-বোরোর চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা। এতে বেড়ে যাচ্ছে খরচ।

চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের ইমরান আলী বলেন, এত ঠান্ডায় কাজ করা খুব মুশকিল। তারপর গ্রামে কাজ করার লোক পাওয়া যায় না। যে দু-একজন কাজ করছেন তাদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে।

নান্দেড়াই গ্রামের কৃষক মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডার কারণে জমিতে ইরি-বোরো চারা লাগানোর মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে কেউ কাজে যেতে চাচ্ছে না। যারা কাজে যাচ্ছে তারা কাজের মূল্য বেশি চাচ্ছে।

ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সব মহাসড়ক। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে এই কুয়াশা। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলছে সূর্যের লুকোচুরি। আবার সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা খুবই কম।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দিনাজপুরের তাপমাত্রা নামলো ৭ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত সময় : ০৫:১৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহের কবলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষ। ভোর থেকে উত্তরে হিমেল বাতাস আর কুয়াশার কারণে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।

শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এতে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীর গতিতে। এদিকে তীব্র শীতে ইরি-বোরোর চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা। এতে বেড়ে যাচ্ছে খরচ।

চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের ইমরান আলী বলেন, এত ঠান্ডায় কাজ করা খুব মুশকিল। তারপর গ্রামে কাজ করার লোক পাওয়া যায় না। যে দু-একজন কাজ করছেন তাদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে।

নান্দেড়াই গ্রামের কৃষক মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডার কারণে জমিতে ইরি-বোরো চারা লাগানোর মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে কেউ কাজে যেতে চাচ্ছে না। যারা কাজে যাচ্ছে তারা কাজের মূল্য বেশি চাচ্ছে।

ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সব মহাসড়ক। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে এই কুয়াশা। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলছে সূর্যের লুকোচুরি। আবার সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা খুবই কম।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে।