মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কটে দক্ষিণ আফ্রিকা

ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কটের কবলে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির দুগ্ধ খামারগুলো দুধ ফ্রিজে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা কাজ না করায় খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে এবং মর্গে মৃতদেহ সংরক্ষণ মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার গ্রাহক। শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এসকম। প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। এর ফলে দেশটিতে অর্ধেক দিনই বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না। বিদ্যুতের অতিরিক্তি চাহিদা মেটাতে ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দুটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করে। কিন্তু এরই মধ্যে পুরোনো কেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাড়তে শুরু করে। নকশা ও নির্মাণ ত্রুটি, ব্যাপক ব্যয় বৃদ্ধি এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নতুন কেন্দ্রগুলো চালু করতে দেরী হচ্ছিল। বিদ্যুতের উৎপাদন ঘাটতির জন্য এসকম সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের নাশকতা, কয়লা ও খুচরা যন্ত্রাংশ চুরিকে দায়ী করে। এ ঘটনার পর বিদ্যুৎকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনী মোতায়েনকে করা হয়। শেষ পর্যন্ত এসকম পরিচালনার জন্য দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিতে হয়, যা দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় আয়ের প্রায় এক চতুর্থাংশ। গত বছর এসকম জানায়, তাদের ডিজেল কেনার অর্থ ফুরিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সঙ্কট কাটাতে তাদের দেড় ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানিয়েছেন, সঙ্কট থেকে উত্তরণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে পুরোপুরি উত্তরণে ছয় থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কটে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত সময় : ০৯:১৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কটের কবলে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির দুগ্ধ খামারগুলো দুধ ফ্রিজে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা কাজ না করায় খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে এবং মর্গে মৃতদেহ সংরক্ষণ মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার গ্রাহক। শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এসকম। প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। এর ফলে দেশটিতে অর্ধেক দিনই বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না। বিদ্যুতের অতিরিক্তি চাহিদা মেটাতে ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দুটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করে। কিন্তু এরই মধ্যে পুরোনো কেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাড়তে শুরু করে। নকশা ও নির্মাণ ত্রুটি, ব্যাপক ব্যয় বৃদ্ধি এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নতুন কেন্দ্রগুলো চালু করতে দেরী হচ্ছিল। বিদ্যুতের উৎপাদন ঘাটতির জন্য এসকম সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের নাশকতা, কয়লা ও খুচরা যন্ত্রাংশ চুরিকে দায়ী করে। এ ঘটনার পর বিদ্যুৎকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনী মোতায়েনকে করা হয়। শেষ পর্যন্ত এসকম পরিচালনার জন্য দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিতে হয়, যা দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় আয়ের প্রায় এক চতুর্থাংশ। গত বছর এসকম জানায়, তাদের ডিজেল কেনার অর্থ ফুরিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সঙ্কট কাটাতে তাদের দেড় ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানিয়েছেন, সঙ্কট থেকে উত্তরণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে পুরোপুরি উত্তরণে ছয় থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।