মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিসকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিলেন পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানিয়েছেন, পুতিন তার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর ফোনালাপে পুতিন তাকে হুমকি দেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পরপরই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জনসন পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ টেলিফোনে কথা বলেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনসন ফোনকলটিকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জনসন জানান, ফোন কলে তিনি পুতিনকে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ একটি ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের’ দিকে নিয়ে যাবে। এর পরপরই পুতিন তার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দেন। পুতিন বলেন, ‘এটা করতে মাত্র এক মিনিট সময় লাগবে।’ জনসন দাবি করেছেন, তিনি সেই ফোন কলে পুতিনকে ইউক্রেনের হামলা থেকে সরে আসতে রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি পুতিনকে সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনের ওপর হামলা অব্যাহত থাকলে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করেছে। জনসন জানান, ফোন কলে তিনি পুতিনকে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ একটি ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের’ দিকে নিয়ে যাবে। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। জনসন পুতিনকে ফোনে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন অদূর ভবিষ্যতে ন্যাটোতে যোগ দেবে না। মূলত জনসন পুতিনকে যুদ্ধের পথ থেকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বরিস জনসনের চেষ্টা সফল হয়নি এবং যুদ্ধ এখনও চলেছে। উল্টো পুতিন জনসনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে জনসন বলেন, ‘একপর্যায়ে তিনি আমাকে হুমকি দেন।’ পুতিন বলেছিলেন, ‘বরিস, আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। কিন্তু একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এটি করতে মাত্র এক মিনিট সময় লাগবে।’ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ।ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। বরিস জনসন আরও বলেন, ‘পুতিন আমার সঙ্গে খুব সাবলীলভাবে কথা বলেছেন। তাকে যুদ্ধের পথ থেকে সরিয়ে আলোচনার টেবিলে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে আমার প্রচেষ্টার সঙ্গে খেলছিল।’ ফোনালাপের বিষয়ে জনসন বলেন, ‘তখন পুতিন বেশ আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু তার হুমকি আসলেই সত্যি ছিল কি না তা জানা অসম্ভব।’ যদিও পুতিনের হুমকি জনসনকে থামাতে পারেনি। ক্ষমতায় থাকাকালীন এবং ক্ষমতা ছাড়ার পরও তিনি কয়েকবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করেছেন। জনসন জেলেনস্কিকে ‘খুব শান্ত’ নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যুদ্ধের সময় তাকে কিয়েভের রাস্তায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা গেছে। জনসন জেলেনস্কিকে ‘খুব শান্ত’ নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বরিসকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিলেন পুতিন

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানিয়েছেন, পুতিন তার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর ফোনালাপে পুতিন তাকে হুমকি দেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পরপরই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জনসন পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ টেলিফোনে কথা বলেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনসন ফোনকলটিকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জনসন জানান, ফোন কলে তিনি পুতিনকে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ একটি ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের’ দিকে নিয়ে যাবে। এর পরপরই পুতিন তার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দেন। পুতিন বলেন, ‘এটা করতে মাত্র এক মিনিট সময় লাগবে।’ জনসন দাবি করেছেন, তিনি সেই ফোন কলে পুতিনকে ইউক্রেনের হামলা থেকে সরে আসতে রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি পুতিনকে সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনের ওপর হামলা অব্যাহত থাকলে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করেছে। জনসন জানান, ফোন কলে তিনি পুতিনকে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ একটি ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের’ দিকে নিয়ে যাবে। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। জনসন পুতিনকে ফোনে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন অদূর ভবিষ্যতে ন্যাটোতে যোগ দেবে না। মূলত জনসন পুতিনকে যুদ্ধের পথ থেকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বরিস জনসনের চেষ্টা সফল হয়নি এবং যুদ্ধ এখনও চলেছে। উল্টো পুতিন জনসনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে জনসন বলেন, ‘একপর্যায়ে তিনি আমাকে হুমকি দেন।’ পুতিন বলেছিলেন, ‘বরিস, আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। কিন্তু একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এটি করতে মাত্র এক মিনিট সময় লাগবে।’ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ।ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। বরিস জনসন আরও বলেন, ‘পুতিন আমার সঙ্গে খুব সাবলীলভাবে কথা বলেছেন। তাকে যুদ্ধের পথ থেকে সরিয়ে আলোচনার টেবিলে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে আমার প্রচেষ্টার সঙ্গে খেলছিল।’ ফোনালাপের বিষয়ে জনসন বলেন, ‘তখন পুতিন বেশ আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু তার হুমকি আসলেই সত্যি ছিল কি না তা জানা অসম্ভব।’ যদিও পুতিনের হুমকি জনসনকে থামাতে পারেনি। ক্ষমতায় থাকাকালীন এবং ক্ষমতা ছাড়ার পরও তিনি কয়েকবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করেছেন। জনসন জেলেনস্কিকে ‘খুব শান্ত’ নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যুদ্ধের সময় তাকে কিয়েভের রাস্তায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা গেছে। জনসন জেলেনস্কিকে ‘খুব শান্ত’ নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।