শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন কলেজশিক্ষক

চিরকুমারত্বের অবসান ঘটিয়ে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার জিগিরমোল্লা গ্রামের কলেজশিক্ষক শওকত আলী। ৭০ বছর বয়সে বাগেরহাটের মোংলার ৩৫ বছরের মেয়ে শাহেদা বেগম নাজুকে বিয়ে করেন তিনি। গত শনিবার ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের পিড়িতে বসেন তিনি।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, পরিবারে হাল ধরতে গিয়ে এবং ভাই বোনদের মানুষ করতে সংসার করা হয়ে ওঠেনি শওকত আলীর। তাই তিনি সারাজীবন চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর একাকিত্ব অনুভব করায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

শওকত আলীর ছোট ভাই আব্দুল হালিম খোকন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বয়স হয়েছে। তাকে দেখভাল করতে এ সময় তার একজন জীবন সঙ্গিনী খুবই দরকার বলে মনে করি আমরা। পরে তাকে আমরা বিয়ের জন্য জোর করি। তিনি একটা সময় এসে রাজি হলে মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করি। পরিবারসহ নতুন বর এবং কনে আগামিতে হজ্বে যাবেন।’

শওকত আলীর প্রতিবেশী আকমল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কখনো ভাবিনি যে তিনি বিয়ে করবেন। তিনি আমার স্যার ছিলেন। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ।’স্থানীয় মেম্বর নিখিল বাবু বলেন, শওকত আলী একজন ভদ্রলোক। তার আসলে একজন জীবন সঙ্গি খুব দরকার ছিল। তাদের নব দম্পতির জন্য অনেক শুভকামনা। দৈনিক আমাদের সময়

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

৭০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন কলেজশিক্ষক

প্রকাশিত সময় : ১১:১৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

চিরকুমারত্বের অবসান ঘটিয়ে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার জিগিরমোল্লা গ্রামের কলেজশিক্ষক শওকত আলী। ৭০ বছর বয়সে বাগেরহাটের মোংলার ৩৫ বছরের মেয়ে শাহেদা বেগম নাজুকে বিয়ে করেন তিনি। গত শনিবার ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের পিড়িতে বসেন তিনি।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, পরিবারে হাল ধরতে গিয়ে এবং ভাই বোনদের মানুষ করতে সংসার করা হয়ে ওঠেনি শওকত আলীর। তাই তিনি সারাজীবন চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর একাকিত্ব অনুভব করায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

শওকত আলীর ছোট ভাই আব্দুল হালিম খোকন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বয়স হয়েছে। তাকে দেখভাল করতে এ সময় তার একজন জীবন সঙ্গিনী খুবই দরকার বলে মনে করি আমরা। পরে তাকে আমরা বিয়ের জন্য জোর করি। তিনি একটা সময় এসে রাজি হলে মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করি। পরিবারসহ নতুন বর এবং কনে আগামিতে হজ্বে যাবেন।’

শওকত আলীর প্রতিবেশী আকমল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কখনো ভাবিনি যে তিনি বিয়ে করবেন। তিনি আমার স্যার ছিলেন। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ।’স্থানীয় মেম্বর নিখিল বাবু বলেন, শওকত আলী একজন ভদ্রলোক। তার আসলে একজন জীবন সঙ্গি খুব দরকার ছিল। তাদের নব দম্পতির জন্য অনেক শুভকামনা। দৈনিক আমাদের সময়