শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশ্মীরের সংবাদপত্রে তালেবান নিয়ে খবর নিষিদ্ধ

কাশ্মীরের সংবাদপত্রে তালেবান নিয়ে খবর নিষিদ্ধ করেছে সেখানকার ভারতীয় প্রশাসন।

তালেবান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে সরকারি বিজ্ঞাপন মিলবে না বলে সম্পাদকদের ডেকে বলে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার জানায়, গত ১৫ আগস্ট নাগাদ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি যখন দেশ ছাড়েন, কাশ্মীরের সংবাদপত্রগুলো সেই খবর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ করেছিল।

পরদিনই তথ্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে পত্রিকার সম্পাদকদের ডেকে বলে দেওয়া হয়, তালেবান কিংবা আফগানিস্তানের প্রসঙ্গে কোনো খবর যদি তারা প্রকাশ করেন, তা হলে সরকারি বিজ্ঞাপন মিলবে না।

স্থানীয় একটি উর্দু পত্রিকার সম্পাদক বলেন, ‘তথ্য অধিকর্তার দপ্তর থেকে আমাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আফগানিস্তান নিয়ে কোনো কিছু লেখা চলবে না।’

লিখলে সরকারি বিজ্ঞাপন মিলবে না- কাশ্মীরের পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

মুসলিম হিসেবে কাশ্মীরের বিষয়ে কথা বলার অধিকার রয়েছে- তালেবান মুখপাত্রের এমন বক্তব্যও কাশ্মীরের কোনো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি।

এছাড়া কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা সাবেক হুররিয়াত প্রধান সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুর খবরও কাশ্মীরের পত্রিকাগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়নি।

সম্পাদকেরা জানান, জম্মু-কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহার মিডিয়া উপদেষ্টা এ নিয়ে বড় খবর না করার জন্যই তাদের বলেছিলেন।

অঘোষিত এসব নির্দেশের মধ্যে সংবাদপত্রগুলোতে তা হলে কী ছাপছে? কাশ্মীরের খবরের কাগজগুলোতে সবচেয়ে বেশি জায়গা মিলছে জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার।

পাশাপাশি কাশ্মীরে খবর প্রকাশের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ এলে পুলিশের বক্তব্যই প্রকাশ করছে সংবাদপত্রগুলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কাশ্মীরের সংবাদপত্রে তালেবান নিয়ে খবর নিষিদ্ধ

প্রকাশিত সময় : ১২:৩০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

কাশ্মীরের সংবাদপত্রে তালেবান নিয়ে খবর নিষিদ্ধ করেছে সেখানকার ভারতীয় প্রশাসন।

তালেবান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে সরকারি বিজ্ঞাপন মিলবে না বলে সম্পাদকদের ডেকে বলে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার জানায়, গত ১৫ আগস্ট নাগাদ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি যখন দেশ ছাড়েন, কাশ্মীরের সংবাদপত্রগুলো সেই খবর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ করেছিল।

পরদিনই তথ্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে পত্রিকার সম্পাদকদের ডেকে বলে দেওয়া হয়, তালেবান কিংবা আফগানিস্তানের প্রসঙ্গে কোনো খবর যদি তারা প্রকাশ করেন, তা হলে সরকারি বিজ্ঞাপন মিলবে না।

স্থানীয় একটি উর্দু পত্রিকার সম্পাদক বলেন, ‘তথ্য অধিকর্তার দপ্তর থেকে আমাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আফগানিস্তান নিয়ে কোনো কিছু লেখা চলবে না।’

লিখলে সরকারি বিজ্ঞাপন মিলবে না- কাশ্মীরের পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

মুসলিম হিসেবে কাশ্মীরের বিষয়ে কথা বলার অধিকার রয়েছে- তালেবান মুখপাত্রের এমন বক্তব্যও কাশ্মীরের কোনো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি।

এছাড়া কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা সাবেক হুররিয়াত প্রধান সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুর খবরও কাশ্মীরের পত্রিকাগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়নি।

সম্পাদকেরা জানান, জম্মু-কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহার মিডিয়া উপদেষ্টা এ নিয়ে বড় খবর না করার জন্যই তাদের বলেছিলেন।

অঘোষিত এসব নির্দেশের মধ্যে সংবাদপত্রগুলোতে তা হলে কী ছাপছে? কাশ্মীরের খবরের কাগজগুলোতে সবচেয়ে বেশি জায়গা মিলছে জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার।

পাশাপাশি কাশ্মীরে খবর প্রকাশের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ এলে পুলিশের বক্তব্যই প্রকাশ করছে সংবাদপত্রগুলো।