বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে পাহাড়ি দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ৮

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে পাহাড়ি দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খানতাম পাড়া এলাকা থেকে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতরা সবাই বম জনগোষ্ঠীর বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএ) এর সঙ্গে অস্ত্রধারীদের গোলাগুলি হয়। এদিকে, কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ৭ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা হলেন- ভান দু বম, সাং খুম, সান ফির খাং বম, বয়রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান বম, লালঠা জার বম। অপর জনের নাম পাওয়া যায়নি। বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পায় যে, খামতাম পাড়া এলকায় দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এলাকাটি দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রাতে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। আজ (শুক্রবার) সকালে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে ৮জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো বান্দরবান মর্গে আনা হয়েছে। কুকি-চিন এর নেতা নাথান বমের নামে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এসপি বলেন, নাথাম বমের নামে বহু মামলা রয়েছে। এবারও মামলা হবে। তবে এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের খোঁজে পেলে পরিবারে পক্ষে যদি মামলা না করে তাহলে সরকারের পক্ষ হয়ে আমরা মামলা করবো। রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, রুমা-রোয়াংছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়কের খানতাম পাড়া এলাকায় পাহাড়ের গহীনে লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। উপজেলার পাইন্দুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা বলেন, খামতাং পাড়ার প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রুমা ও রোয়াংছড়ি বাজারে চলে এসেছেন বলে শুনেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বান্দরবানে পাহাড়ি দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ৮

প্রকাশিত সময় : ০৭:৩৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে পাহাড়ি দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খানতাম পাড়া এলাকা থেকে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতরা সবাই বম জনগোষ্ঠীর বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএ) এর সঙ্গে অস্ত্রধারীদের গোলাগুলি হয়। এদিকে, কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ৭ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা হলেন- ভান দু বম, সাং খুম, সান ফির খাং বম, বয়রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান বম, লালঠা জার বম। অপর জনের নাম পাওয়া যায়নি। বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পায় যে, খামতাম পাড়া এলকায় দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এলাকাটি দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রাতে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। আজ (শুক্রবার) সকালে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে ৮জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো বান্দরবান মর্গে আনা হয়েছে। কুকি-চিন এর নেতা নাথান বমের নামে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এসপি বলেন, নাথাম বমের নামে বহু মামলা রয়েছে। এবারও মামলা হবে। তবে এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের খোঁজে পেলে পরিবারে পক্ষে যদি মামলা না করে তাহলে সরকারের পক্ষ হয়ে আমরা মামলা করবো। রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, রুমা-রোয়াংছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়কের খানতাম পাড়া এলাকায় পাহাড়ের গহীনে লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। উপজেলার পাইন্দুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা বলেন, খামতাং পাড়ার প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রুমা ও রোয়াংছড়ি বাজারে চলে এসেছেন বলে শুনেছি।