সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরো বিশ্বকে জিনোমিক নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ

আগামীতে মহামারি শনাক্ত ও ঠেকাতে পুরো বিশ্বকে জিনোমিক নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। তৈরি করছেন জেনেটিক সতর্ক ব্যবস্থা। এতে সম্মিলিত ডিএনএ সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজে ও দ্রুত শ্বাসরোগের জন্য দায়ী ভাইরাসের নতুন রূপ চিহ্নিত করা যাবে। আগামী এক বছরের মধ্যে এ পদ্ধতি চালু করতে চান গবেষকরা।  ২০০২ সালে সার্স ছড়িয়ে পড়ে ২৯ দেশে, আক্রান্ত হয় ৮ হাজার মানুষ। মারা যায় সাড়ে ৭শ’র বেশি। ২০১২-এ শুরু মার্সের প্রাদুর্ভাব, আক্রান্ত আড়াই হাজারের বেশি, মৃত প্রায় ৯শ’।৮ বছর পর করোনার প্রাদুর্ভাব। বিশ্বব্যাপী মাত্র তিন বছরে এ মহামারিতে মারা গেছে ৬৮ লাখের বেশি মানুষ।

মহামারি যে এখানেই শেষ নয়, তা স্পষ্ট বার বার এসব ভাইরাসের প্রার্দুভাবে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের মহামারি ঠেকাতে ‘দ্যা রেসপেরেটরি ভাইরাস এন্ড মাইক্রোবায়োম ইনিশিয়েটিভ‘ নামে প্রকল্প শুরু করেছেন যুক্তরাজ্যের ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইন্সটিটিউটের গবেষকরা। এতে ইনফ্লুয়েঞ্জা, সার্স, কোভিডসহ সব ধরনের শ্বাসরোগের ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স একত্রিত করা হবে। যা দ্রুত ভাইরাসের নতুন রুপ শনাক্ত করতে পারবে।গবেষকরা জানান, এ পদ্ধতিতে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে কেবলমাত্র একটি ভাইরাসের পরিবর্তিত ধরণ নয়, শ্বাসরোগের যেকোন ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত করা যাবে। এরইমধ্যে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে কোভিডের নতুন ঢেউয়ের কারণ- আলফা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। বর্তমানে প্রযুক্তিটির তিনটি ভিন্ন সংস্করণ পরীক্ষা করে দেখছেন তারা।গবেষকরা বলছেন, শুধু নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত নয়, ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরিতেও বড় ভূমিকা রাখবে গেঞ্জ চেঞ্জার খ্যাত এই প্রযুক্তি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পুরো বিশ্বকে জিনোমিক নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ

প্রকাশিত সময় : ১০:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

আগামীতে মহামারি শনাক্ত ও ঠেকাতে পুরো বিশ্বকে জিনোমিক নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। তৈরি করছেন জেনেটিক সতর্ক ব্যবস্থা। এতে সম্মিলিত ডিএনএ সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজে ও দ্রুত শ্বাসরোগের জন্য দায়ী ভাইরাসের নতুন রূপ চিহ্নিত করা যাবে। আগামী এক বছরের মধ্যে এ পদ্ধতি চালু করতে চান গবেষকরা।  ২০০২ সালে সার্স ছড়িয়ে পড়ে ২৯ দেশে, আক্রান্ত হয় ৮ হাজার মানুষ। মারা যায় সাড়ে ৭শ’র বেশি। ২০১২-এ শুরু মার্সের প্রাদুর্ভাব, আক্রান্ত আড়াই হাজারের বেশি, মৃত প্রায় ৯শ’।৮ বছর পর করোনার প্রাদুর্ভাব। বিশ্বব্যাপী মাত্র তিন বছরে এ মহামারিতে মারা গেছে ৬৮ লাখের বেশি মানুষ।

মহামারি যে এখানেই শেষ নয়, তা স্পষ্ট বার বার এসব ভাইরাসের প্রার্দুভাবে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের মহামারি ঠেকাতে ‘দ্যা রেসপেরেটরি ভাইরাস এন্ড মাইক্রোবায়োম ইনিশিয়েটিভ‘ নামে প্রকল্প শুরু করেছেন যুক্তরাজ্যের ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইন্সটিটিউটের গবেষকরা। এতে ইনফ্লুয়েঞ্জা, সার্স, কোভিডসহ সব ধরনের শ্বাসরোগের ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স একত্রিত করা হবে। যা দ্রুত ভাইরাসের নতুন রুপ শনাক্ত করতে পারবে।গবেষকরা জানান, এ পদ্ধতিতে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে কেবলমাত্র একটি ভাইরাসের পরিবর্তিত ধরণ নয়, শ্বাসরোগের যেকোন ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত করা যাবে। এরইমধ্যে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে কোভিডের নতুন ঢেউয়ের কারণ- আলফা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। বর্তমানে প্রযুক্তিটির তিনটি ভিন্ন সংস্করণ পরীক্ষা করে দেখছেন তারা।গবেষকরা বলছেন, শুধু নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত নয়, ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরিতেও বড় ভূমিকা রাখবে গেঞ্জ চেঞ্জার খ্যাত এই প্রযুক্তি।