সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইউক্রেন

রাশিয়ার মিত্র ইরানের বিরুদ্ধে এবার একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট। এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে রাশিয়া। এই আগ্রাসনের মধ্যে মস্কোকে তেহরানের অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নিল কিয়েভ। এক দিন আগেই ইউক্রেন বলেছিল, আগ্রাসন শুরুর পর রাজধানী কিয়েভে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করেছে মস্কো। নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ অনুমোদনের বিষয়টি ইউক্রেনের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। প্যাকেজটিতে ইরানের সঙ্গে সামরিক ও দ্বৈত–ব্যবহারযোগ্য (সামরিক-বেসামরিক) পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউক্রেনের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়া বিলটিতে এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সই করতে হবে। এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজেই বিলটি পার্লামেন্টে জমা দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ইরানিদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, তারা কেন রাশিয়ার সন্ত্রাসের সহযোগী হতে চান? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক গত রোববার বলেছিলেন, তার দেশের রাজধানী কিয়েভে ডজন ডজন শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ইরান সরকারকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেন। মাইখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে বলেন, এই যুদ্ধে মস্কোর একটি প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে তেহরান। ইউক্রেনের বেসামরিক শহরগুলোতে হামলার জন্য ইরান জেনেশুনে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। তেহরান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, পশ্চিমা সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য এটা জেলেনস্কির একটা প্রচেষ্টামাত্র।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইউক্রেন

প্রকাশিত সময় : ০৬:২৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

রাশিয়ার মিত্র ইরানের বিরুদ্ধে এবার একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট। এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে রাশিয়া। এই আগ্রাসনের মধ্যে মস্কোকে তেহরানের অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নিল কিয়েভ। এক দিন আগেই ইউক্রেন বলেছিল, আগ্রাসন শুরুর পর রাজধানী কিয়েভে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করেছে মস্কো। নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ অনুমোদনের বিষয়টি ইউক্রেনের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। প্যাকেজটিতে ইরানের সঙ্গে সামরিক ও দ্বৈত–ব্যবহারযোগ্য (সামরিক-বেসামরিক) পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউক্রেনের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়া বিলটিতে এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সই করতে হবে। এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজেই বিলটি পার্লামেন্টে জমা দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ইরানিদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, তারা কেন রাশিয়ার সন্ত্রাসের সহযোগী হতে চান? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক গত রোববার বলেছিলেন, তার দেশের রাজধানী কিয়েভে ডজন ডজন শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ইরান সরকারকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেন। মাইখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে বলেন, এই যুদ্ধে মস্কোর একটি প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে তেহরান। ইউক্রেনের বেসামরিক শহরগুলোতে হামলার জন্য ইরান জেনেশুনে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। তেহরান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, পশ্চিমা সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য এটা জেলেনস্কির একটা প্রচেষ্টামাত্র।