বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমপি এনামুলকে শিবির সভাপতি বলায় মিনুর বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি এনামুল হক ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন- এমন বক্তব্য দেওয়ার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২৩ জুলাই) এমপি এনামুলের পক্ষে তাঁর মালিকানাধীন এনা গ্রুপের স্টাফ অফিসার পারভেজ হোসেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী কোনো কথা বলতে চাননি। তবে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে স্টাফ অফিসার মামলা করেছেন। আমার আইনজীবী হুমায়ুন আহমেদ আমাকে জানিয়েছেন, আদালত মামলা গ্রহণ করেছেন। তবে আদেশ কাল দেবেন।’ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রাজশাহীতে একটি টকশোর আয়োজন করে। সেখানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএনপি নেতা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা। আলোচনার একপর্যায়ে রাজশাহীর সরকারদলীয় চার এমপিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মিনু। বাগমারার এমপি এনামুল হক সম্পর্কে মিনু বলেন, ‘এমপি এনামুল সাহেব! জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কিছুই করতে দেখি নাই। বরঞ্চ বগুড়ায় যখন পড়াশোনা করতেন, তখন তিনি শিবিরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। হি ইজ নাও এমপি।’ এই টকশো প্রচারের পর এ নিয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। চার এমপির অনুসারীরা মিনুর মন্তব্য মিথ্যা দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন। আবার আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাকর্মীই টকশোর ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে মিনুর বক্তব্যকে সত্য বলে মন্তব্য করেন। শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে এমপি এনামুলের পক্ষে মামলা হলো। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, এমপি এনামুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কখনই শিবির করেননি। ২০০৮ সাল থেকে তিনি টানা তিন বার এমপি রয়েছেন। তাঁকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু মিথ্যা কথা বলেছেন। তবে মিজানুর রহমান মিনু এখনও তাঁর মন্তব্যে অটল। রোববার বিকালে তিনি বলেন, ‘আমার সেদিনের বক্তব্য দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাজশাহীর সব মানুষ জানে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমার নামে ৬২টা মামলা আছে। এটার মাধ্যমে না হয় ৬৩টা হবে। আমার কর্মীরাই মামলা নিয়ে চিন্তা করে না, আর আমি লিডার!’-রাইজিংবিডি.কম

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলাম’

এমপি এনামুলকে শিবির সভাপতি বলায় মিনুর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি এনামুল হক ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন- এমন বক্তব্য দেওয়ার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২৩ জুলাই) এমপি এনামুলের পক্ষে তাঁর মালিকানাধীন এনা গ্রুপের স্টাফ অফিসার পারভেজ হোসেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী কোনো কথা বলতে চাননি। তবে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে স্টাফ অফিসার মামলা করেছেন। আমার আইনজীবী হুমায়ুন আহমেদ আমাকে জানিয়েছেন, আদালত মামলা গ্রহণ করেছেন। তবে আদেশ কাল দেবেন।’ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রাজশাহীতে একটি টকশোর আয়োজন করে। সেখানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএনপি নেতা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা। আলোচনার একপর্যায়ে রাজশাহীর সরকারদলীয় চার এমপিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মিনু। বাগমারার এমপি এনামুল হক সম্পর্কে মিনু বলেন, ‘এমপি এনামুল সাহেব! জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কিছুই করতে দেখি নাই। বরঞ্চ বগুড়ায় যখন পড়াশোনা করতেন, তখন তিনি শিবিরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। হি ইজ নাও এমপি।’ এই টকশো প্রচারের পর এ নিয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। চার এমপির অনুসারীরা মিনুর মন্তব্য মিথ্যা দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন। আবার আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাকর্মীই টকশোর ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে মিনুর বক্তব্যকে সত্য বলে মন্তব্য করেন। শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে এমপি এনামুলের পক্ষে মামলা হলো। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, এমপি এনামুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কখনই শিবির করেননি। ২০০৮ সাল থেকে তিনি টানা তিন বার এমপি রয়েছেন। তাঁকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু মিথ্যা কথা বলেছেন। তবে মিজানুর রহমান মিনু এখনও তাঁর মন্তব্যে অটল। রোববার বিকালে তিনি বলেন, ‘আমার সেদিনের বক্তব্য দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাজশাহীর সব মানুষ জানে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমার নামে ৬২টা মামলা আছে। এটার মাধ্যমে না হয় ৬৩টা হবে। আমার কর্মীরাই মামলা নিয়ে চিন্তা করে না, আর আমি লিডার!’-রাইজিংবিডি.কম